Linksstories

linksstories` logo
খালাতো বোন যখন বউ - অনুগল্প | Bangla Short Story

খালাতো বোন যখন বউ – অনুগল্প | Bangla Short Story

আজ অনেক দিন পর খালার বাড়িতে যাচ্ছি, খালার সাথে এত্ত দিন কোন প্রকার যোগাযোগ ছিল না,কারণ আমার আম্মু ও আব্বু দুইজনই ভালোবেসে বিয়ে করে,আর খালা ছিল ভালোবাসার বিরুদ্ধে, বিয়ের আগে ভালোবাসাকে খালা ঘৃণার চোখে দেখতেন, তাই আব্বু আম্মু বিযের পর খালার সাথে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হই যায়।আজকে প্রথম আমি আমার খালাকে দেখতে পাবো,আমার জন্মের পর খালা নামক ব্যক্তিটাকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয় নি,

এই যে দেখুন আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে আমি আমার পরিচয় টা দিতে ভুলে গেছি আমি আমরিন তালুকদার, বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান।
বাসা ঢাকা মিরপুর, থাক এই পর্যন্তই।

চলুন গল্পে ফিরি

আজ কেন জানি না খালামণি কে দেখতে ইচ্ছে হলো,তাই আম্মুর কাছে সব বললাম আম্মুর কাছ থেকে খালামণির ঠিকানা নিয়ে বেরিয়ে পরলাম।

আপনারা ভাবছেন এত্ত বছর কথা হয় না, তাহলে ঠিকানা যানলো কি করে,আসলে খালামণিরা থাকে গ্রামের বাড়িতে আর আমরা ঢাকা।তাই গ্রামের ঠিকানা নিয়ে চলে যাই গ্রামের উদ্দেশ্য গাড়ি উঠে বসে আছি।

যত সময় যাচ্ছে মনে হচ্ছে বুকের ভিতর কিছু একটা টান দিচ্ছে। কি এমন যা আমাকে ভাবচ্ছে যা বুঝতে পারছি না,সব ভাবনা প্রতিক্ষা ছেদ করে দীর্ঘ ৬ ঘন্টা যার্নি শেষে সেই গ্রামের মাটিতে পা দিয়েছি।

আর ওমনি কথা থেকে যেন একটা পিচ্চি রাস্তার পাশে ধুলো ছুড়ে মারলো।মেজাজটাই বিগড়ে গেলো, এত্ত পরিপাটি হয়ে এসেছি তার পর যে রোদ,ঘেমে সব শেষ,তার পর আবার এই কাহিনি, বাচ্চা মেয়েটিকে ধরে ধমক দিতেই কোথা থেকে একটি বড় মেয়ে এসে ঠাসসস করে আমার গালে থাপ্পড় মেরে দিলো,

আমি তো ভেবা চেকা খেয়ে গেলাম,মেয়েটিকে দেখতে পারিনি তাই মনে করেছি হয়তো পিচ্চি মেয়েটি দিছে,পিচ্চি মেয়েটাকে কিছু বলতে যাবো তার আগে আমার শার্টের কলার ধরে টান দিয়ে সোজা করিয়ে দার করালো,
আমি তাকিয় এক প্রকার শকড হই গেলাম এত্ত সুন্দর একটা মেয়ে এই গ্রামে কি করে থাকতে পারেে তাই ভাবছি, একনাগকরে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছি হঠাৎ মেয়েটি তার হাতের তুড়ি বাজিয়ে আমার ধ্যান ভাঙ্গালো।

মেয়েটি: এই তোর সমস্যা কি, বাচ্চা একটা মেয়েকে এমন করে ধমকাচ্ছিস কেন?

আমি: যদি যানতাম এটা আপনার মেয়ে তাহলে আমি তাকে আদর করতাম,

মেয়েটি: ঠাসসস,আমার মেয়ে মানে??এটা আমার ছোট বোন

আমি: ওহহ আচ্ছা, আপনার নামটাকি জানতে পারি।

ছেলে: মেয়েটি ব্রু কুচকে চলে যায় কোন কথা না বলেই।আর আমিও আমার গন্তব্যের দিকে পা বাড়াই,অনেক খুঁজা খুঁজির পর খালার বাসার সামনে এসে দারাই,দরজার কড়া নাড়তেই সেই ছোট্ট বাচ্চাটি দরজা খুলে দেয়।আর আমাকে দরখে চিল্লাদে শুরু করে।তার চিল্লানোর শব্দ শুনে সেই মেয়েটি বাইরে বেরিয়ে আসে,এসে আমাকে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে।

আমি: এই যে মিস: আপনি এখানে কেন?

মেয়েটি : আমার বাড়িতে এসে আমাকেই বলা হচ্ছে আমি কেন এখান বাহহ, আজব তো।।ম

মেয়েটির সাথে কথা কাটাকাটি করতে করতে বৃদ্ধ মহিলা রুম থেকে বের হইয়ে আসলো।।তাকে দেখে আমি সালাম দিলাম

আর আমার পরিচয় দিলাম,পরিচয় পাওয়ার পর আন্টি তার বড় ও ছোট মেয়ের মাথে পরিচয় করিয়ে দিল,,হায়রে কপাল তাহলে এই বদমাইশ গুলো খালার মেয়ে,খালা এদেরকে কি করে সামলায় তা ভাবতেই শরির শিউরে উঠছে।

খালার বাসায় আসার পর থেকে খালাতো বোনদের সাথে লেগে রইছি সুপাব্লুর মতো।কখন কিভাবে যে মেঘাকে ভালোবেসে ফেলেছি বুঝতেই পারিনি।

ওহহ আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেই,খালার দুইটা কিউট কিউট মেয়ে আছে যা আগে যানতাম না,যেহেতু আজ যেনেছি সেহেতু আজকে পরিচয় করিয়ে দেই।বড় মেয়ের নাম মেগা,আর ছোটোটার নাম নেহা,দুইটাই খুব জিদি টাইপের মেয়ে,কখন কি করে বসে কেও জানে না,

আমি: মেঘা,আমার তোমাকে কিছু বলার ছিল,

মেঘা: হুমম বলো, আমিও কিছু একটা বলব বলবো ভাবছি,।

আমি: আচ্ছা তাহলে তুমি আগে বলো,তোমার টা শুনার পর না হয় আমি আমারটা বলবো।

মেঘা: না তুমি আগে বলতে চাইছো তাই তুমি আগে বলবা,তার পর আমি

আমি: মেঘা,আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি, প্রথম দেখায়,ভালো লেগে যায় কিন্তু তোমাকে বলা হয়নি,তার পর যখন জানতে পারি তুমি আমার খালাতো বোন,তখন নিজের ভিতর কিছুটা ভয় অনুভব হয়।কারণ তোমার আম্মু এসব দেখতে পারে না,তাই আজও বলা হয়ে উঠেনি,কিন্তু আজ না বলে আর পারছি না,।কারণ আজকে তোমায় কিছুক্ষণ পর দেখতে আসবে ছেলে পক্ষ।প্লিজ মেঘা আমাকে ফিরিয়ে দিও না।

মেঘা: দেখো আমিও তোমাকে কখন কিভাবে যেন ভালোবেসে ফেলেছি, কিন্তু তুমি একটু বেশিই দেরি করে ফেলেছো,এখন কিছুই করার নাই,কারণ ছেলে পক্ষ দেখতে আসবে,যদি পছন্দ হয় সাথে সাথে বিয়ে,তাই আমাকে ভুলে যাও তুমি।

আমি: নাহ মেঘা আমি তোমাকে ভুলতে পারবো না,আর যদি তোমায় না পাই তো এজীবন আমি রাখবো না,বলেই পাশে থাকা ফল কাটা ছুরি দিয়ে গলায় ধরি।
হয়তো মেঘা ভাবছে কি করবে।

মেঘা কিছুক্ষণ ভেবে তার পর বলতে শুরু করলো।
মেঘা: আমাকে নিয়ে পালাতে পারবে,পারবে আমাকে সারাটি জীবন তোমার বুকের বাহুডরে আগলে রাখতে।কখনও ছেরে যাবে না তো।

আমি: নাহ,পাগলিটাহ

বলেই মেঘাকে জরিয়ে ধরি,আর পিছন থেকে খালা হাত তালি দিয়ে রুমের ভিতর ডুকতে শুরু করে,আর পিছন পিছন আমার আব্বা আম্মু, সবাই আছে,আমি ভাবতে পারছি না আমার আব্বু আম্মু এখানে কেন,।

তার পর আন্টি বলে আজকে নাকি আমার আর মেঘার বিয়ে,বুঝলেন না তো কিছুই দারান ফ্ল্যাসব্যাক

আমি খালার বাসায় আসার সাথে সাথে আন্টি আম্মুর কাছে ফোন দিয়ে কথা বলে তাদেরকেও তারাতারি এখানে চলে আসতে বলে,কারণ আম্মু আগে থেকেই খালাকে সব কিছু বলে রেখে ছিল,শুধু আমাকে কৌশলে এখানে পাঠানো জন্য এত্ত নাটক,তার পর আস্তে আস্তে সব তো জানেনই,মেঘার সাথে হাসি মজা খুনশুটি দেখে খালাও মনে মনে খুশি কিন্তু আমাদের বুঝতে দিত না,তার পর আমাদের দুজনের রিয়াকশন দেখার জন্য মেঘার বিয়ের কথা বলে।আর তার পর তো জানেনই কি হইছে।

সেদিনই আমাদের বিয়ের সব কাজ সম্পন্ন হয়,বাসর ঘরের সামনে দারিয়ে আছি আর মনের ভিতর এক বুক সাহস নিয়ে ডুক্র চেষ্টা করছি কিন্তু কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না,কিন্তু পিছন থেকে কে যেন ধাক্কা দিলো নিজের ঠিক রাখতে না পেরে বাসর ঘরের দরজার উপর পরে যাই, তার পর আর কি সামনে সদ্য বিয়ে করা বউ রইছে নিজের ভিতর এক অজানা উত্তেজানার সৃষ্টি হচ্ছে,আস্তে আস্তে বউ এর দিকে এগুতে থাকি,আর বউ আমায় দেখে পিছাতে থাকে, আস্তে আস্তে মেঘাকে দেওয়ালের সাথে লেপ্টে যায়,পিছনে যাওয়ার মতো কোন যায়গায় আর নাই,শেষ মুহূর্তে মেঘা কোন উপায় না পেয়ে আমার বুকে জরিয়ে ধরে শক্ত করে মুখ লুকালো।

আমিও আস্তে আস্তে মেঘাকে খাটে শুইয়ে দেই,তার পর দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সেই সুখময় পবিত্র কাজটা করেই ফেলি,এই যে ভাই ও আপুরা তোমরা কি শুনো যাও তোমরা ঘুরে আসো, তোমাদের এসব জানতে হবে না,তোমরাও বিয়ে করো তার পর বুঝবা।

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ও মেঘার শরীরে একটা সুতাও নেই,দুজনই একটা চাদর জরিয়ে শুইয়ে আছে,মেঘা এ অবস্থায় দেখে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারছি না,তাই মেঘার ঠোঁটের দিকে এগুতেই

মেঘা: এই,কি শুরু করলা, রাত্রিতে তো মন ভরে করলা,এখনও কাপর নিজেও পরোনি আমাকেও দেও নি,আবার এখন।

আমি: তোমার মধু তো আমি সারাক্ষণ খেতে চাই,তুমি দিবা বউ

মেঘা: যা শয়তান, ছারো এখন গোসল করতে হবে।

আমি: না গোসল এবার করার পর করবা,

মেঘা: না,এখন হবে না,সকালে এসব করতে নেই

আমি: উমম কে বলছে সকালে করতে নেই,আমি করবো, তুমি চাইলে গোসল করতে পারো, কিন্দু তোমাকে আবার গোসল করতে হবে,তাই তুমি কি চাও কিছু সময়ের ব্যবধানে আবার গোসল করতে।।

মেঘা: কুত্তা, শয়তান,বাদর,লুইচ্চা,আয় তুই তোরে এমন অবস্থা করে দিব,আর কখনও আমার মধু স্পর্শ করতে দুই বার ভাববি,

আমি: তাই না,তো চলো আজকে দেখবো কে কার মধু বের করে,।

তার পর আর কি আর নাই বা জ্বানলেন,এরপর ওদের দুজনরই জন্য করবেন,

ধন্যবাদ এতক্ষণ ধরে গল্পটি পরার জন্য

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top