মেঘা: বাবুটা কি রাগ করছে আমার উপর হুমমম???
আমি: নাহ,রাগ করবো কেন,আর আমি কারো বাবু না,ওকে?
মেঘা: কেন, তুমি তো আমার লক্ষি জামাই,
রাফসান: 🙄🙄🙄🙄।
কি হলো বুঝলেন না তো?তো চলুন ফ্ল্যাসব্যাক।
আজ অনেক গুলো ইন্টাভিউ দেওয়ার পর চাকরীটা পেয়েছি,আজকেই অফিসের প্রথম দিন,অফিসে যাচ্ছি এমন সময় পাশ দিয়ে একটা গাড়ি সজোড়ে পানি ছিটিয়ে চলে যায়,সকাল সকালে মেজাজটাই বিগড়ে গেলো,আজকে প্রথম অফিসে যাওয়া আর আজকেই বাঁধা পরলো,কপালে যে কি আছে আল্লাহ ভালো জানে।
কি আর করার কাঁদা ড্রেসে তো আর অফিসে যাওয়া যাবে না,তাই আবার চলে আসি বাসাতে।বাসায় এসে আর একটা কাপর পরে আবার রওনা হই অপিসের উদ্দেশ্য।অফিসে যেতে যেতে ১ ঘন্টা লেট হয়ে যায়,
অপিসে ডুকা মাত্র পিয়ন চাচা এসে বলে গেলে ম্যাম নাকি আমাকে ডাকছে তার রুমে।কি আর করার যা ভেবে ছিলাম তাই হলো,অফিসের প্রথম দিনই ম্যামের বকা শুনতে হবে মনে হচ্ছে, তাই চলে যাই ম্যামের রুমে।
আমি: ম্যাম আসবো?
ম্যাম: জ্বি মি.ভিতরে আসুন,তা অফিসের প্রথম দিনই এরকম লেট করলেন যে?জীবনের চলার পথে এরকম স্লো চললে কিছু করতে পারবেন না।আর এই অফিসের রুলসে থাকবেন,না হলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে, মনে রাখবেন কথাটা।
হায় রে এটা কি বস নাকি অন্য কিছু তার পর আমি ম্যামকে জ্বি আচ্ছা বলে চলে আসি আমার কেবিনে, আজ অফিসের প্রথম দিন হওয়াতে বেশি কাজ ছিল না,তাই কিছু সময় ফোন টিপতে ছিলাম,হঠাৎ একজন এসে বললো।
হিয়া: হাই মি.আপনি কি নতুন?আমি হিয়া জান্নাত,আর আপনি?
আমি: জ্বি আমি রাফসান।আর হ্যাঁ আমি আজকেই জয়েন হয়েছি।
ওও আপনাদের তো আমার পরিচয় দেওয়া হলো না,আমি হচ্ছি বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান, রাফসান ইসলাম।আর বাকি টুকু গল্পের সাথেই থাকেন জানতে পারবেন আর কিছু বলে সময় নষ্ট করতে চাই না।
হিয়া: আমি আপনার পাশের ডেক্সেই কাজ করি,সো যেহেতু একই সাথে পথ চলা, তো ফ্রেন্ডস???
আমি: জ্বি অবশ্যই, কেন নয়,
তার পর হিয়ার সাথে বসে বসে গল্প করছি,কখন যে ম্যাম এসে দারিয়েছে বুঝতেই পারিনি।ম্যাম আমার ও হিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে চোখ বড় বড় করে।আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না,আস্তে করে হিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি হিয়া মিটিমিটি হাসচ্ছে ম্যামের দিকে তাকিয়ে,আর ম্যাম রেগে ফায়ার হচ্ছে।
আমি: ম্যাম আসলে হইছে কি…. আর কিছু বলতে দিল না।
ম্যাম: এই তোরে বেতন দিয়ে এখানে রাখা হইছে,গল্প বা প্রেম করার জন্য না।(রাফসানের কলার ধরে বললাম)
আমি: স্যরি ম্যাম,আসলে হিয়া….
ম্যাম: আমি কোন কথা শুনতে চাই না,এই নে ফাইল, এই সব কয়টা এখনই শেষ করে আমার কেবিনে নিয়ে আসবি।
আমি: ম্যাম,আমি তো নতুন আমি কি পারবো???
ম্যাম: 😠😠😠😠
কি আর করবো এই জন্য মেয়েদের দেখতে মন চায় না,মেয়েরা যদি একটু মাথা উঁচু করে দারায় তো তাদের পা মাটিতে পরে না,একটা মেয়ে এত্তটা রাগি হয় কি করে দারিয়ে দকরিয়ে ভাবছি,আর এমন সময় হিয়া বলে উঠলো।
হিয়া: কি মি. ম্যামকে প্রথম দেখায় পছন্দ হয়ে গেছে নাকি?
আমি: আরে না,না, তা নয়,ভাবছি যে একটা মেয়ে কি করে এত্তটা রাগি হতে পারে,এর বাবা মা তাকে কি করে সামলায় বুঝতে পারছি না,
হিয়া: আসলে ম্যামের বাবা মা একটা এক্সিডেন্ট মারা যায়,বেশ কিছু দিন হলো,তখন থেকে মেঘা এমন হয়ে গেছে।
আমি: মেঘাটা আবার কে?
হিয়া: আরে গাঁধা ম্যামের নাম জানো না বুঝি,আমাদের ম্যামের নাম হচ্ছে মেঘা,এবার বুঝছো কে মেঘা।
আমি: তো তুমি নাম ধরে বলছো কেন??
হিয়া: আরে তুমি এত্ত বোকা কিভাবে বলো তো।তোমার ম্যাম আমার বান্ধবী, আর তুমি দেখলা না তোমার ম্যাম আমাকে কিছুই বললো না,তোমার উপর সব রাগ ঝেড়ে গেল,
আমি: ওও আচ্ছা, আচ্ছা বায়,কাজ আছে দেখি করতে পারি কিনা,
তারপর হিয়াকে বিদায় দিয়ে নিজ মনে কাজ করতে থাকি,প্রথমে একটু সমস্যা হলেও পরে আস্তে আস্তে ঠিক করে ফেলি,কারণ আমি কম্পিউটার নিয়ে অনেক কাজই আগে করেছি।
তাই একটু সমস্যা হলেও পরে ঠিক হয়ে যায়।
কাজ করতে করতে কখন দুপুর হয়ে গেছে খেয়ালই করিনি,
হিয়া: এই যে মিঃ দুপুরের খাবার খাবেন না??
আমি: ওও হুমমম,তবে…….?
হিয়া: তবে কি?বাসা থেকে নাস্তা নিয়ে আসেন৷ নাই তো তাই না?সমস্যা নেই আমি বেশি করে এনেছি,আমার থেকে খাবেন কেমন।
আমি: কিন্তু আপনার…..
হিয়া: আর কোন কিন্তু আমি শুনতে চাচ্ছি না,আমি বলছি খাবেন তো খাবেন,আর কোন কথা নয়,কাগজ গুলো গুছিয়ে আসেন ক্যান্টিনে।আমি অপেক্ষা করছি।
আমি: আচ্ছা, আপনি যান,আমি আসতেছি,।
তার পর আর কি এমন ভাবে বলছে মনে হয় অনেক দিনের পরিচয় আমাদের,সত্যি মেয়েটা অনেক ফ্রি মাইন্ডের,তার পর আমিও চলে যাই ক্যান্টিনে,ক্যান্টেিনে গিয়ে আমি দুইটা রুটি আর একটা কলা নিয়ে হিয়ার কাছে যাই,আর হিয়া আমার হাতে কলা, রুটি দেখে আমার হাত থেকে সেগুলো নিয়ে আছার দিয়ে ফেলে দেয়।
আমি: কি হলো মিস: হিয়া,এগুলো ফেলে দিলেন কেন?
হিয়া: তোরে বলছিলাম না,আমি খাবার নিয়ে আসচ্ছি,আমার সাথে খেতে তো তুই এই সব নিয়ে আসচ্ছিস কেন?
আমি: আসলে,কেমন দেখায়,প্রথম দিন??
আর বলতে পারলাম না,হিয়া আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে,আর বলতে শুরু করে।
হিয়া: ভালোবাসি তোমায় আমি,জানি না বেসেছি কি করে।প্রথম দেখায়।তোমারই মায়ায় হারিয়ে গেছি দুর এক অজানায়,তুমি কি নিবে আমায় তোমারই বুকের মাঝেতে।
আমি: হ্যালো মিস : হিয়া কি বলছেন এই সব,এগুলো সম্ভব নয়,আমি রিলেশন জরাতে পারবো না।
হিয়া: কিন্তু কেন?কি নেই আমার মঝে,যার জন্য তুমি আমায় ভালোবাসাতে পারবে না,কি কমতি আছে?
আমি: দেখো ভালোবাসতে হলে দুইটা মনের মিল থাকতে হয়।আর একে অপরকে বুঝতে হয়।কিন্তু আমি তোমার সাথে কোনটাই করতে পারছি না,তাই আমি পারবো না,আর আমি অন্য কাওকে ভালোবাসি,তাই স্যরি আমি পারবো না।
হিয়া: রাফসান,তোমাকে আমি বেসেছিলাম ভালো,তোমারই মাঝে হারিয়ে গেছি এক অজানায় প্রথম দেখায়,তোমা রহস্য মেতে উঠেছে আমার এই মন,বিশ্বাস করো রাফসান,অনেক অনেক ভালোবাসি তোমায় আমি।
মেঘা: মিস : হিয়া এখানে খাইতে আসচ্ছে নাকি প্রেম করতে আসচ্ছেন?কাজের যে সময় হয়ে যাচ্ছে সেটা কি খেয়াল আছে?আপনাদের কি টাকা দিয়ে রাখা হইছে নাকি?
এর পর এরকম হলে দুটোকেই বের করে দিব।আর এই যে মি: আপনি আমার রুমে আসেন।
(বলেই সেখান থেকে চলে আসি)
আমি: জ্বি আচ্ছা আসতেছি।
কি আর করবো প্রথম দিনই এরকম হবে বুঝতে পারিনি,তার পর আর কি করবো,চলে যাই ম্যামের রুম,ম্যামের রুমে যাওয়ার পর ম্যাম যা বললো তা শুনে আমি পুরাই থ বনে চলে গেলাম,এটা কি করে হতে পারে বুঝতেই পারছি না।
আরে ভাই আপনারা যা ভাবছেন তা নয়,আসলে কি হইছিলো তাহলে কি শুনবেন,তো আমাদের সাথে থাকুন,তাই জানতে পারবেন।
আমি: ম্যাম,আসবো?
ম্যাম: হুমম,ভিতরে আসুন,আর শুনুন কালকে ব্যাগ পত্র নিয়ে অফিসে আসবেন,আপনার ও আর কয়েকজন স্টাফ আমরা কোম্পানি কাছে বাহিরে যাবো আমেরিকাতে।।
আমি: সত্যি ম্যাম,(এত্ত পরিমাণ এক্সাইটেড হয়ে গেছি যে এটা আমার ম্যাম বুঝতেই পারিনি,ম্যামকে জরিয়ে ধরে কোলে নিয়ে ঘুরতে থাকি,যখন বুঝতে পারি,তখন দাঁতে কামরিয়ে বলি স্যস্যরি ম্যাম,আসলে অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল আমেরিকা যাওয়ার আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি নন,আমি কোন দিনই যেতে পারবো।
ম্যাম: কেন এত্ত এক্সাইটেড কেন শুনি?
আমি: আসলে ম্যাম আমার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল, তকর পর আরো অনেক কিছুই বলি।
তার পর দিনই আমরা দেশ ছেরে চলে যাই স্বপের নতুন শহরে,সেখানে গিয়ে আমরা একটা হোটেলে উঠে পরি।রাতে ম্যাম আমি,হিয়া,ও আর একজন অফিসের স্টাফ চলে যাই ডিনার করতে,ডিনার শেষে ম্যাম ডিংস করে বাসায় ফিরে,বামায় আসা মাত্র ম্যাম মাথা গুরে পরে যায়।কি করবো ভেবে না পেয়ে হিয়াকে ডাক দেই।
মেঘা: রাফসান,এখানে কেন তুই,আর এটা কি করছিস?
আমি্র কেন ম্যাম,আমি তো কিছুই করি নি,কি হইছে আপনার?
মেঘা: ঠাসসস,ঠামমম,নির্লজ্জ,বেহায়া,তুই আমার রুমে কেন,আর নমার কাপড় চেইঞ্জ করািস কেন?বল রাতে কি করচিস আমার সাথে।
আমি: ম্যাম,আমি কিছু করিনি,বিশ্বাস করুন,।।
মেঘা: ঠাসস,ঠাসসস,চুপ আর একটা কথাও বলবি না,যা তুই আমকর সনে থেকে,তোরে যেন আর না দেখি।
আমি: ম্যাম,আপনি সত্যি টা না জেনেই এরকম রিয়েক্ট করলে,এটা ঠিক করলে না।
মেঘা: 🤔🤔🤔
।
তার পর সেখান থেকে চলে আসি,একবারে বাসাতে নিজের দেশের,কারণ যে চায় না ামাতে তারর সনে কি করে যাবো?
তাই চলে আসি নিজের শহরে,আর নিজ শহরে এসেই একটা রিজাইন লেটার লিখে অফিসে জমা দিয়ে বাসায় শুইয়ে রইছি।এভাবে কেটো যায় ৪ দিন,হয়তো ম্যামরা এখন আমেরিকা থেকে ফিরছে।কিন্তু কেন শুধু ম্যাম আই মিন,মেঘার কথক স্বরণ করছি কেন??না এই সব ভুলে যেতে হবে।
কি হলো বুঝলেন না তো।ম্যামকে যখন রুমে নিয়ে আসা হয়,ম্যাম তখন আমার কাঁধে শুইয়ে ছিল,কারণ তিনটা মেয়ের মাঝে আমাকে একাই নিয়ে গেছে।তাই সব কাজ আমাকেই করতে হয়।কিন্তু বমি করে দেওয়াতে আমি হিয়াকে ডেকে নিয়ে ম্যামের কাপর চেইঞ্জ করে দিতে বলি তার পর হিয়া চলে যাওয়ার পর,ম্যাম আমার হাত টেনে ধরে তার কাছে টেনে নিয়ে নেয়।আর তার পর তো আপনারা জানেনই।
এখন নতুন অফিসের ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছি।হঠাৎ মেঘা ম্যাম সামনে তার গাড়ি দার করিয়ে জরিয়ে ধরে।
আমি: আরে ম্যাম,এটা কি করছেন?
মেঘা: স্যরি রাফসান,আমার ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা করে দেও আমাকে জানতাম না যে হিয়া চেইঞ্জ করে দিছে,আর তোমকর হাতে এই সব কি??
আমি: চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে আসতেছি,আচ্ছা ম্যাম চলি বায়।
মেঘা: এই তুই কই যাস,আমাকে রেখে হুমমম?তুই কি বুঝিন নাই আমি তোকে ভালোবাসি,কিন্তু আমি সেদিন রাগ করে বলেছি,কারণ আমি চাইনা বিয়ের আগে আমার সবটা হারাই।কিন্তু যখন ঘুম থেকে উঠি দেখি তুমি আমাকে জরিয়ে ধরে শুইয়ে আছো,আর আমার কাপর ও চেইঞ্জ করা,তখন অনেক রাগ উঠে যায়।
আমি: ম্যাম আমি রিজাইন নিয়েছি,দেন আপনার অফিসে নতুন স্টাফ জয়েন করছে,তাই আসতে পারেন।
মেঘা: তোর অফিসে লাগবে না,আমার লাগবে,তুই সব সময় আমার কাছে থাকবি বুঝছিস,কুত্তা।
আমি: স্যরি ম্যাম,আমি কুত্তা না,আর আপনার সম্মান বা লজ্জা না থাকতে পারে,কিন্তু আমার লজ্জা বলতে কিছু আছে,তাই আমি পারবো না।
মেঘা: তোকে তো পারতেই হবে,আর আমি তোকে আজকেই বিয়ে করবো।চল আমার সাথে।
তার পর আর কি আমি চলে আসতে নিলে ম্যাম,রাস্তার লোকজন ডাকার ভয় দেখায়,আমি কি করবো বুঝতে পারছি না,তাই বাধ্য হয়ে তার কাছে হার মানতে হয়।না হলে রাস্তার মানুষেরর কাছে গনপিটুনি খেতে হবে।গন পিটুনি না খাওয়ার চেয়ে তার কথা মেনে নেওয়াই ভালো।
আচ্ছা কি এমন হয়ে ছিল,যার জন্য মেঘা আমেরিকা থেকে এসেই রাফসানকে খুঁজে বেরাচ্ছিলো,আর খুঁজে পাওয়ার সাথে সাথে বিয়ে করতে চাইছে।তাহলে শুনুনন রাফসান যখন চলে আসে দেশে।তার কিছু সময় পর হিয়া মেঘার রুমে ডুকে, আর হিয়া ডুকেই বলতে শুরু করে
হিয়া: ম্যাম,আজকে রাফসান যদি না থাকতো,আপনার যে কি হতো,আল্লাহ ভালো যানে।আপনি এত্ত পরিমাণ ড্রিংস করেছিলেন,যে পুরো রাস্তায় বমি করতে করতে আসচ্ছেন।আর ম্যাম,রাফসান যদি না থাকতো,হয় তো।।
মেঘা: কি হয়তো হুমমম??
হিয়া: আজকে আর বাঁচানো সম্ভব হতো না,কারণ আমাদের কিছু বখাটে ধরে ছিল,আপনি নেশা অবস্থায় থাকার কারণে,আমাদের কিছু লোক ঘিরে ধরে।আর রাফসান একটু দুরে ছিল,কাছে আসতেই।রাফসানের সাথে মারামারি লেগে যায়।তার হাত অনেক টাই কেটে গেছে,
মেঘা: কিহহহহ,সত্যি???
হিয়া: হুমমম,ম্যাম,সত্যি আর শুধু তাই নয়,আজ যদি রাফসান,না থাকতো,তো আজকে আমরা এখানে থাকতাম না,রাফসানের হাতের অনেকটাই কেঁটে গেছিলো,কিন্তু সকাল থেকেই রাফসানেক খুঁজে বেরাচ্ছি কিন্তু রাফসাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না,আপনি কি জানেন??
মেঘা: হিয়া,(বলেই হিয়াকে জরিয়ে ধরে কান্না করে দেই।আর বলতে থাকি রাফসানের সাথে কি কি করেছি সকালে।)
হিয়া: ম্যাম এটা আপনি ঠিক করেন নি।
মেঘা: কিন্তু আমি কি করবো বল,ঘুম থেকে উঠে দেখি,ামার জামা চেইঞ্জ, আর আমাকে জরিয়ে ধরে ছিল,
হিয়া: ম্যাম,জামাটা আমিই চেইঞ্জ করে দিছি,আর রাফসান ইচ্ছে করে আপনার সাথে ঘুমায়নি,আপনি জোর করে তাকে জরিয়ে ধরেছিলেন,যাই হোক যাই করছেন ভালো করেন নি?
মেঘা: হিয়া,আমি…..আর বলতে পারলাম না হিয়া চলে গেলো,সত্যি আমি এটা কি করলাম,না জেনে না বুঝে আমি একটা মানুষকে এভাবে আঘাত করতে পারলাম,আর আমি তো রাফসানকে ভালোবাসি তো কেন এমন করলাম,বুঝতেই পারছি না।
তার পর আর কিছু না ভেবে চলে আসি দেশের উদ্দেশ্য, দেশে ফিরেই রাফসানকে ফোন দেই কিন্তু ফোন বন্ধ, রাস্তার এপাশ অপাশ সব যায়গা খুঁজে বেরিয়েছি,কিন্তু রাফসানকে কোথাও খুঁজে পাই না।আমি পাগলের মতো রাফসানে খুঁজে বেরাই, তিন দিন যাবৎ,অফিসে রাফসানের ঠিকানা ছিল,সেখানেও পাই না,কিন্তু হঠাৎ করেই রাফসানকে দেখতে পাই তার পর তো কি করলাম,আপনারা জাননেই,আমার পাগলটাকে আমি আপন করে নিতে বিয়ে করে নিলাম।
বাসর ঘরে বসে আছি,কিন্তু রাফসানের বাচ্চার আসার নামই নেই।মন চাচ্ছে ওরে আস্তো গিলে খেয়ে ফেলি,কেন যে আসচ্ছে না,
কে জানে,অনেক অপেক্ষা করার পর,মহারাজের আসার সময় হলো।
আমি: ম্যাম,আপনি এখনও ঘুমান নি কেন?
মেঘা: ওই কিসের ম্যাম,হুমমম আমি তোমার বিয়ে করা বউ,মেঘা করে বলবা।
আমি: চেষ্টা করবো, আল্লাহ হাফেজ ঘুমিয়ে যান।
মেঘা: এই এই তুই কই যাস,কিছু বলছি না বলে কি মনে করিস আমাকে,বিয়ের আগে জরিয়ে ধরে ঘুমাতে পারিস আর এখন আসিস না কেন?
আমি: ওইটা মিস্টেক ছিল,আর আপনি জোর করছিলেন,যাই হোক সেসব কথা,আমি ঘুমাবো বায়,আর আমি আপনাকে মানি না।
মেঘা: তুই মানবি না তোর বাপ মানবে,কুত্তা, বিড়াল হনুমান(বলেই আমি বিছানা থেকে উঠে রাফসানকে টেনে বিছানায় ফেলে দেই,আর বুকের মধ্যে কিল ঘুসি মারতে থাকি।
আস্তে আস্তে তার৷ সাথে মিশে চলে যাই দুর অজানায়,যেখানে আমি আর মেঘা ছারা কেও পাবে না যেতে।আপনারা তাই একটু দুর দিয়ে ঘুরে আসেন আমরা ফিরলে আবার আপনাদের ডাকবো তখন আসবেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে
তার পর তো জানেনই
মেঘা: বাবুটা কি আমার উপর রাগ করছে?
আমি: নাহ,রাগ করবো কেন,আর আমি কারো বাবু না,ওকে?
মেঘা: কেন, তুমি তো আমার লক্ষি জামাই,
আমি: 🤔🤔🤔
মেঘা: কি ভাবো তুমি হুমমম?আচ্ছা যদি আমাকে নাই ভালো বাসো তো এত্ত তারাতারি আপন করে নিলে কেন?
আমি: কারণ শুনবা তাহলে শুনো,তোমাকে যেদিন প্রথম দেখি তোমার মায়ায় হারিয়ে যাই আমি দুর অজানায়,তোমাকে ভালো তো আমি সেদিনই বেসেছিলাম,কিন্তু পরে যখন দেখি তুমি ামার বস তখন নিজের মনের ভালোবাসাটা নিজের মাঝেই চাপা দিয়ে দেই।
মেঘা: কিহহহ,তুমি আমাকে প্রথম দেখাই ভালো বেসেছিলা,কিন্তু কি এমন দেখেছিলে।
আমি: তোমার রাগটাকে আমার বড্ড ভালো লাগে।আর বড় কথা,তোমার সাথে কাটানো মুহুর্ত,আর তোমার রগ গুলো সব আমার উপর খাটাতে এই সব আমি ভালো বেসেফেলেছিলাম।
মেঘা: তাই নাকি, আমার বাবুটা এত্ত ভালোবাসতো আমায় আমি তো আগে জানতাম না,আচ্ছা শুনো না গো, আমার না টুইন বেবি লাগবে,কবে এনে দিবা?
আমি: তুমি একটা বাচ্চা মেয়ে তুমি আবার বাচ্চাও লজ্জা করে না,তাও একটা বিবাহিত ছেলের কাছে,হাহাহাহা।
মেঘা: হারামি,কুত্তা,তুই আমি তোর কাছে চাবো না তো কার কাছে চাবো বল,আমাকে বেবি কবে দিবি তাই বল।
আমি: তুমি আর একটু বড় হও তাররপর।
মেঘা: আমি তোর থেকে বড়,আমার বেবি লাগবে বেস আমি আর কিছু জানতে চাই না বুজতে পারছিস।
আমি: আপু কে আপনি,আমি তো আপনাকে চিনি না?
মেঘা: দানা তোরে চিনাচ্ছি ওযেট।।
তার পর আর কি সকাল সকাল শুরু হয়ে গেলো আবার আমাদের রোমাঞ্চ, আপনারা এরকম কেন আমাদের রোমাঞ্চ আপনারা দেখতে আসেন।যান দুরে গিয়ে ঘুরে আসেন।
৩ বছর পর,
তাসফি: আব্বু,আব্বু, তুমি আম্মুকে তরিয়ে ধত্তো।(জরিয়ে ধরো।কথা স্পর্শ বলতে পারে না)
আমি: কেন আম্মু কি হইছে?তোমার আম্মুকে কেন জরিয়ে ধরবো,তোমার আম্মু পচা,দেখো না তুমি আছো তার পর আর একটা বেবি আনতে বলে।
তাসফি: না, না আব্বু তুতি তরিয়ে ধত্তো,আত্তি তব্বি তুতবো।(তুমি জরিযে ধরো আমি ছবি তুলবো)
তার পর আর কি রাজ কন্যার বলছে আমাদের না ধরে থাকতে পারি আপনারাই বলেন,পাগলিটাকে কাছে নিয়ে জরিযে ধরি,তার পর আমাদের রাজ কন্যা আমাদের ছবি তুলে।আপনারাও কি ছবি দেখবেন?তো অপেক্ষা করুন বিযে করে নেই তার পর যদি কোন একদিন সময় হয় তো দেখাবো নি।
এভাবেই কেটে যায় আরো দুই টি বছর,আজ মেঘার অপারেশন, পাগলিটার জন্য ভয় হচ্ছে,তাসফি যখন এই পৃথিবীতে আসে,তখন ততটাও ভয় হয়নি, কিন্তু মন কেন যেন মানছে না,মনে হচ্ছে মেঘাকে হারিয়ে ফেলবো,আমি শত চেষ্টা করেও মেঘার কাছে হেরে যাই,এই বাচ্চাকে পৃথিবীতে আনতেই হয়।কি আর করবো, অপারেশন থিয়েটারের সামনে বসে আছি,মেঘাকে থিযেটারের ভিতর নিয়ে যাওয়া হইছে।২ ঘন্টা পর ডাক্তার কেবিন থেকে বরে হলে ডাক্তারের মুখ দেখে আমি ডাক্তার কলার চেপে ধরি,আর বলতে থাকি,এই ডাক্তার আমার মেঘার কিছু হয়নি তো,আপনাদের এরকম লাগছে কেন?কি হইছে মেঘার?মেঘার তো কিছু হয়নি?কথা বল ডাক্তার, না হলে তোদের সব কয়টাকে কিন্তু শেষ করে দিব।এি সব বলতেছি,আর কান্না করতে থাকি,এমন সময় ডাক্তার হেসে দিয়ে বলে মিষ্টি খাওয়াতে।
আমি: মানে কি বলছেন?মিষ্টি কেন খাওযাবো?
ডাক্তারের কথা শুনে হাসবো নাকি কাঁদবো বুজতেছি না,মেঘা সম্পুর্ন সুস্থ, ওও আপনাদের তো বলাই হয়নি, কেন মেঘাকে নিয়ে ভয় পাচ্ছিলাম,মেঘার একটা সমস্যা ছিল,ডাক্তার বলেছিল বাচ্চা নিলে মেঘার জীবনে ঝুকি আছে।কিন্তু পাগলিটাকে না বলার পরও শুনেনি।
আমি: এই পাগলিটাহ,যদি তোমার কিছু হয়ে যেতো।?
মেঘা: কি হবে?তুমি আছো তো।আমার কিছুই হতো না,আর আল্লাহ চাইলে তো করার কিছু নাই।
আমি্র তা ঠিক তাই বলে…..
মেঘা: শুনো রাফসান,ভালোবাসি তোমায় আমি,এই জীবনের চেয়ে বেশি,আমি জানি তোমার অবস্থা কেমন এখন,আর চাইবো না,এখন একটু এসব বলো না।
আমি: ওকে আর এই নাও হা করো।
তার পর মেঘাকে আমি মিষ্টি খাইয়ে দেই।এখন আমাদের দুটো বাচ্চাই বড় হয়ে গেছে,আজ আমাদের বিবাহ বার্ষিকি আট বছর পূর্ণ হলো,সবাই দোয়া করবেন আমাদের ভালোবাসা যেন এবাবেই সারাটা জীবন পরকালেও এরকম ভাবে অটুট থাকে।
আর আপনাদেরও অনেক অনেক ধন্যবাদ এত্তক্ষণ ধরে গল্পটি পরার জন্য
সমাপ্ত