আজ অনেক দিন পর আমরিনের জ্ঞান ফিরেছে।হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন আজ অনেক দিন যাবৎ আমরিরেন জ্ঞান ছিল না।
তো চলুন শুনে আসি কেন আমরিন অজ্ঞান ছিল অনেক দিন।
ফ্লাস ব্যাক.........
সবে মাত্র এসএসসি পরিক্ষার রেজাল্ট দিছে।করোনার জন্য অনেক দিন স্কুল বন্ধ ছিল।আমরিনের এসএসসি পরিক্ষার দুই মাস আগে স্কুর কলেজ খুলে দিয়েছিল।
পরিক্ষা দেওয়ার পর অনেক দিন বারিতে বসেই কাটিয়ে দিয়েছে। রেজাল্টের পর আমরিন ঢাকাতে প্যারামেডিকেলে ভর্তি হয়।
আমরিন চেয়েছিল কলেজের হোস্টেলে থাকতে কিন্তু তার খালা আর খালু/আন্কেল তাদের বাসায় রাখে। কেননা তাদের বাসা থেকে মাত্র ৩ মিনিটের দুরত্ব।
অনেক তো শুনলেন তার আগে একটু পরিচয়টাও হয়ে নেন চলুন,পরিচয় না হলে তো আসল কাহিনি বুঝতে পারবেন না।
আমরিন বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে।তার খালা ঢাকাতে থাকে। কেননা আন্কেল/ খালু ঢাকাতে একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তারা যে এলাকায় আছে সেখানে তাদের অনেক নাম ডাক।আর তাদের দুইটা মেয়ে। বড় মেয়ে তাসফি আর ছোট মেয়ে মায়া।তাদের যেমন নাম ঠিক তেমন যেন রুপ।তাদের দুই বোনকে যে একবার দেখবে তাকে বিয়ে করতে পাগল হয়ে যাবে।
তাসফি পরে ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে আর মায়া আমরিনের সাথেই এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছিল।সেও নতুন কলেজে ভর্তির প্রিপারেশন নিচ্ছে।
আমরিন হোস্টেলে থাকবে আর তার খালা তাকে নিজের বাসায় রাখবে এটা নিয়ে আমরিন পরিবারে অনেক কথা কাটা কাটি করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে হার মানতেই হয়।
আজ ২০ই মার্চ আমরিন নিজের এলাকা রেখে তার বাবা মা রেখে চলছে অদূরে পরাশুনা করতে।
দুপুরের ট্রেনে উঠে বিকেলের মধ্যে ঢাকায় পৌছায়।বিমানবন্দর রেল স্টেশন অপেক্ষা করছে তার কালাতো দুই বোন।
আজই প্রথম তার খালার বাসায় যাচ্ছে তাই আমরিনকে এগিয়ে নিতে তার খালাতো দুই বোন আসে।
আমরিন ট্রেন থেকে নেমে দুই পাও ফেলতে পারে নি আর পিছন থেকে কে যেন টেনে ধরলো।
আমরিন: আরে ভাই কে রে??
আমরিন পিছন দিকে তাকিয়ে দেখে দুইটা মেয়ে আর তাদেরই মাঝে একটা তাকে কলার টেনে ধরে আছে।
দেখতে বেশ অসাধারণ, কিন্তু অচেনা একটা মেয়ে এভাবে কেন তাকে টেনে ধরে আছে বুজতে পারছে না।আচ্ছা ঢাকাতে তো এর আগেও অনেক এসেছি কিন্তু এরকম পরিস্থিতি শিকার তো কখনও হইনি।
আচ্ছা রেল স্টেশনে যে মেয়ে ছেলে গুলো মানুষের কাছে টাকা চায়। সেগুলো না তো।মনে মনে ভাবছে। তো তারা তো এত্তো সুন্দর। না মাথাটা বেথা করছে এত্তো চিন্তা করতে পারবো না।
পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে...
আমরিনঃ এই নিন ২০ টাকা আমার কাছে আর নেই, দয়াকরে আপনারা দুইজন আমার কাছ থেকে চলে যান,মানসম্মান সব ধুলোই মিশিয়ে দিবেন নাকি।
তাসফি তো অবাক এটা কি হলো।আমরিনের এরকম পরিস্থিতি দেখে তার ছোট বোন মায়ার দিকে বোকা হয়ে দারিয়ে আছে আর রাগে ফুসচ্ছে।
তাসফি: ওই তোর কোন দিক থেকে মনে হয় আমরা ভিক্ষুক।তুই আমাদের দুই বোনকে ২০ টাকা দেস আর বলিস এখান থেকে সরে যেতে।
মায়া: আপু তুই চুপ কর।
মায়া: আচ্ছা আপনি আমরিন তো তাই না।
আমরিন: জ্বি আমি আমরিন, কিন্তু আপনারা কে???
তাসফি: চল তোরে দেখাবো আমরা কে আগে বাসায় যায় তার পর রুমে নিয়ে বুজাবো আমরা দুইজন কে।
আমরিন : আরে আজব তো, আপনারা এরকম কেন করছেন আমার সাথে, আমি আপনাদের কি এমন ক্ষতি করেছি যে আপনারা আমাকে আপনাদের বাসায় নিবেন।
মায়া: ক্ষতি তুমি না আমরা করবো আসো আমাদের সাাথে।
আমরিন তাসফির হাতটা একটা ঝাড়ি দিয়ে তার হাত ছুটিয়ে নিয়ে আসে।আরে তোরা কে রে বাল।আমি কি কোন চুরি ডাকাতি করেছি নাকি আমাকে ধরে বেধে নিয়ে যাচ্ছিস।
তাসফি: কিহহ তুই আমাকে তুই বললি।
মায়া: আপু আমাকেও বললো, এঁহ্যাাাা এঁহ্যাাা
আমরিন: হায়রে মেয়ে এগুলো যে কোথা থেকে আসে।
আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।
আর আপনাদের সাপোর্ট বা অনুপ্রেরণার উপর গল্পের মান নির্বর করবে।আশা করছি ভালো সাপোর্ট পাবো আপনাদের কাছ থেকে।
Click Here To View Next Part