তাসফি: কিহহ তুই আমাকে তুই বললি।
মায়া: আপু আমাকেও বললো, এঁহ্যাাাা এঁহ্যাাা
আমরিন: হায়রে মেয়ে এগুলো যে কোথা থেকে আসে।
মায়া: আচ্ছা তুমি আমরিন ভাইয়া না???
আমি: এই এই তোমরা আমার নাম জানলে কি করে।
তাসফি: তোর নাম চল বারিতে গিয়ে শুনবি কি করে জানলাম।
আমি: মানে তোমাদের নাম কি মায়া আর তাসফি আপু।
মায়া: জ্বি হ্যাঁ এবার তো চলেন
হায় আল্লাহ কি করলাম।আজকে আমি শেষ,কারণ তাসফি আপু যে রাগী আর তাদেরই বাসাতে যাচ্ছি তাকে রাগীয়ে দিয়ে,আজ যে আমার কি হবে আল্লাহ ভালো জানে।(আমরিন মনে মনে ভাবছে আর যাচ্ছে)
আর এই দিকে তাসফি আর মায়া দুজনই আমরিনকে প্রথম দেখায় ক্রাশ খেয়েছে।কিন্তু মায়া তার বড় আপুর জন্য না পারছে কিছু বলতে না পারছে কিছু করতে।
আর তাসফি ছোট বোনকে নিয়ে এসে এখন বুঝতে পারছে।মায়া আসতে চাইলো না।কেন যে জোর করে মায়া আনতে গেলো, তার জন্য তাসফি ওই দিকে ভেবে মরছে।
তিন জনের মনের অবস্থা তিন রকম।একজন ভয় পাচ্ছে তো আর একজন ছোট বোনকে কেন নিয়ে আসলো।না হলে আমরিনের সাথে কিছু রোমাঞ্চ করতে পারতো।আর ছোট বোন ভাবছে কেন যে আম্মু আমাকে না বলে আপু কে বলতে গেলো।
সবাই সবার মনের কথা ভাবতে ভাবতে কখন বাড়িতে পৌঁছে গেছে কারো খেয়াল নেই।গাড়ির হর্ন বাজার পর তিন জনই বাস্তবে ফিরলো।এতক্ষণ সবাই স্বপ্ন দেখতে ছিল একেকজন একেক রকম।
তাসফি: মায়া একটু আমার রুমে আসতো।
মায়া: আচ্ছা তুমি যাও আমি আসচ্ছি।
তার পর তাসফির পিছন পিছন মায়াও তাসফির রুমে যায়।আর মায়া তাসফির রুমে ডুকার সাধে সাথে তাসফি তার রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়।
মায়া: কি হলো আপু তুই দরজা বন্ধ করলি কেন???
তাসফি: জানিস মায়া আমি না আমরিনকে ভালোবেসে ফেলেছি।তুই একটু আমরিনকে বলে দিবি প্লিজ।আমরিন তো আমাকে দেখেই ভয় পায় তাই ওর সামনে গেলেই আমি ও পালিয়ে যেতে টায়।প্লিজ একটু বড় বোনের এই উপকারটা কর না।
মায়া:
তাসফি: কিরে তুই কাঁদছিস কেন??কি হলো তোর আবার??
মায়া: আপু আমিও আমরিনকে ভালোবেসে ফেলেছি।
তাসফি: ওওও আচ্ছা। তুইও যেহেতু ভালোবাসিস।তো যা তুই আপন করে নি।
()
মায়া: নাহ আপু। এই পর্যন্ত অনেক কিছু চেয়েছি অনেক আবদার করেছি পূরণ করেছো, এই জিনিসটা আমি তোমার কাছে কখনও চাবো না।তোমার জিনিস তুমিই নিয়ে নাও, তবে তুমি আমার দ্বারা যে কাজটা করাতে চাচ্ছো তা আমি কখনও পারবো না আপু কখনও পারবো না।
কেঁদে কেঁদে মায়া তার রুমে চলে যায়।আর এই দিকে তাসফি ভাবে হায়রে নিয়তি।যাকে একটু ভালোবাসতে চাইলাম।তাকেও আমার বোনটা ভালোবাসলো।মায়া শেই তাসফির রুম থেকে বের হয়ে তার রুমে দরজা দিয়ে কাঁদছে। কাঁদতে কাঁদতে কখন ঘুমিয়ে গেছে তারই খেয়াল নেই।
এই দিকে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত মায়া তার রুমের দরজা খুলছে না। তার মা অনেক বার ডেকে গেছে কিন্তু কোন কাজই হয়নি।
সবাই রাতের ডিনারে ডাইনিং টেবিলে বসে আছে শুধু মায়া নেই।
তাসফি: আম্মু মায়া কোথায়?বিকেলের পর থেকে আর দেখছি না??
আম্মু: মায়া তো সেই বিকেল থেকে দরজা বন্ধ করে আছে না কোন শব্দ করছে না কোন প্রকার দরজা খুলছে।
তাসফি: কিহহহ।এখনও আমাকে বলোনি কেন??
তার পর না খেয়েই তাসফি মায়ার রুমে দরজা ধাক্কায়।এত্তো পরিমাণ দরজা ধাক্কায় যে মনে হচ্ছে দরজা ভেঙ্গে যাবে
মায়াা: কে ওখানে??
তাসফি: আমি,দরজা খুল তোর হয়েছে কি, বিকেল থেকে কেন দরজা বন্ধ করে দিছিস।আর রাতে কি খেতে হবে নাকি।
মায়া: আসলে আপু তোমার ওই খান থেকে এসে ঘুমিয়ে পরেছিলাম।আর ভুল বসত দরজা আটকিয়ে দিয়েছিলাম স্যরি।
তাসফি: আচ্ছা আমি তো বলেছি তোকে না যে তুই নিবি।তো কেন রাগ করছিস। কেঁদে কেঁদে কি করেছিস বল।
মায়া: না আপু আমি চাইনা।
তাসফি : আচ্ছা সেটা পরে দেখা যাবে এখন চল খািার খাবি, তোর জন্য সবাই বসে আছে।
তার পর সবাই মিলে রাতের খাবার খেতে বসে।
আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন ধন্যবাদ
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
Click Here To View Next Part