তাসফি : আচ্ছা সেটা পরে দেখা যাবে এখন চল খাবার খাবি, তোর জন্য সবাই বসে আছে।
তার পর সবাই মিলে রাতের খাবার খেতে বসে।
খাবার খেয়ে যে যার রুমে চলে যায়।
মায়া শুয়ে শুয়ে ভাবছে কি করে যে এটা হলো, আপু যাকে ভালবাসলো তাকে কেন আমি ভালোবাসতে গেলাম।
জীবনে আপর কাছে থেকে অনেক কিছুই তো নিয়েছি।কিন্তু আপু তো সব কিছু হাসি মুখে দিয়ে দিছে।কিন্তু এই জিনিস টা না হয় আমিই আপুকে দিয়ে দিব।
চাই না আমি কোন আমরিন নামের কোন ছেলেকে।চাইনা আমি আমরিন নামের কারো ভাোবাসা পেতে, আমি আমার আপুর জন্য না হয় আমার ভালোবাসাকে ত্যাগ শিকার করবো।
আর ওই দিকে।
এতদুর সময় পর্যন্ত চলার পথে মায়ার যা কিছু ভাো লেগেছে আমার সব দিয়ে দিয়েছি।এটা আর কি এমন জিনিস। নিজের ভালবাসাই তো কোন ব্যপার না।আমার বোনটা যদি সুখে থাকে তো আমিও সুখী। চাইনা আমার ছোট বোনকে কষ্ট দিয়ে নিজের সুখটাকে অনুভব করতে।
আর আমরিন……..
হায়রে শালার কি জিনিস দুই বোন😇।আমাকে তো পাগল করে দিবে।সব সময় দুই বোন কেন আমার কাছে কাছে থাকে।তাদের দুই বোনের মতলব টা কি 🤔🤔।
এভাবেই এরা তিন জন যার যার ভাবনা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায়।
সকাল বেলা খুব তারাতারি ঘুম ভেঙ্গে যায়।নতুন পরিবেশ তাই ঘুমটা ঠিক মতো হয়নি।তার উপর অনেক কিছু চিন্তা করতে করতে।অনেক দেরিতে ঘুমিয়েছে।নতুন পরিবেশ না হলে আমরিন সকাল ৯ টার আগে ঘুম থেকেই উঠতো না।
যাই হোক ঘুম যখন ভেঙ্গেই গেছে তাই বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসে ফোন টিপতে লাগে।
এমন সময় তার আন্টি তার রুমে আসে।
আন্টি: কেমন হলো ঘুম, নিশ্চই নতুন যায়গায় ঘুম হয়নি।নিচে চলো নাস্তা করতে।
আমরিন: নাহ ঘুম হয়েছে কিন্তু নতুন পরিবেশ তো তাই তারাতারি ঘুম ভেঙ্গে গেছে।
আন্টি: আচ্ছা তাহলে নিচে এসে নাস্তা করো।
আমরিন: এতো সকালে???
আন্টি: কই এখনও সকাল???৭টা বাজতে চললো,এখনও কিচ্ছু খাওনি তারাতারি আসো।
আমরিন: আচ্ছা আসচ্ছি আন্টি আপনি যান।
তার পর আমরিন তার আন্টির পিছন পিছন নিচে যায় নাস্তা করতে।
নিচে যাওয়ার সাথে সাথে মায়ার সাথে দেখা হয়।হয়তো সেও নাস্তা করতে এসেছে তাই কোন কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ টেবিলে বসে পরে।
আমরিন নাস্তা করার সময় অনেক বার চোখ এদিক ওদিক করে দেখলো কিন্তু কিচ্ছু খুজে পাচ্ছে না,হয়তো আমরিনের দুই চোখ কাওকে খুজে বেরাচ্ছে।কিন্তু তাকে সে খুজে পাচ্ছে নাহ।
তাই সে চুপচাপ কিছু খেয়ে তার রুমে এসে বসে থাকে।
আর অনেক সময় একা একা কাটানোর পর আন্টি এসে ডেকে গেল নিচে যাওয়ার জন্য।
যদিও নিচে যেতে ইচ্ছে করছিল না।তবুও এখানে বসে থাকতেও বোর হয়ে গেছে।তাই অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নিচে যায়।
নিচে যেতেই।আন্টি বাহির থেকে ঘুরে আসতে বলল।
আমরিন: আন্টি আমি তো কিছুই চিনি না এখানের,তো একা কি করে যাবো??
আন্টি: আরে বোকা ছেলে তোমাকে আমি একা কেন পাঠাবো শুনি।তোমার সাথে তাসফি আর মায়া যাচ্ছে।
তাসফি: না মা আমার কাজ আছে তুমি মায়াকে সাথে পাঠাও।
মায়া: নাহ মা আমি যেতে পারবো না আপুকে পাঠাও।
আমার স্কুলে একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস আছে আমি চললাম স্কুলে।
আন্টি: তাসফি, মায়া আমার কথার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কি করে হয়??
আমরিন: আচ্ছা আন্টি তারা না গেল সমস্যা নেই আমি একাই যেতে পারবো
আন্টি: না দুই বোনই যাবে তোমার সাথে।
আমরিন: আমি বলছি তো আন্টি লাগবে না,আমি পারবো,এমন তো না যে আমি একবারেই কিছু চিনি না।তাদের কাজ থাকতেই পারে।
আন্টি: না দুই বোনই যাবে তোমার সাথে।
আমরিন: আমি বলছি তো আন্টি লাগবে না,আমি পারবো,এমন তো না যে আমি একবারেই কিছু চিনি না।তাদের কাজ থাকতেই পারে।
প্রিয় পাঠক পাঠিকা আপনারা তো জানেন তারা দুই বোন কেন যেতে চাচ্ছে না।
আর দুঃখিত এত্ত দিন গল্প না দেওয়াতে, আপনারও সাপোর্ট করতে চান না আর আমারও তাই লিখে ইচ্ছে করত না।
তার পর দুই বোনই আমরিনের সাথে নিয়ে ঘুরতে বের হয়।
আমরিন তো পুরোই মানকাচিপায় পরেছে না পারছে কোনটার সাথে কথা বলতে না পারছে চুপ করে থাকতে।এক রকম লজ্জায় পরে গেছে।
তাসফি: আচ্ছা আমরিন তুমি কি কাওকে ভালোবাসো???
আমরিন: না কেন বলুন তো??
তাসফি: না এমনেই।কেও একজন হয়তো বা তোমাকে অনেক ভালোবাসে তো তাই আর কি বলেছি।
মায়া: আমরিন ভাইয়া আপনি আপুর সাথে থাকেন আমার ওই যে ফ্রেন্ডস গুলো দারিয়ে আছে আমি ওদের কাছে যাবো, আর ভাইয়া একটু এই দিকে আসেন একটা কথা আছে!
আমরিন তাসফির থেকে অল্প কিছুটা দুরে যায় আর মায়া যেন কি বলে তার পর মায়া চলে যায়।
আচ্ছা মায়া কি এমন বললো যার জন্য আমরিন কিছুটা ঘাবড়ে গেলে???সেটা পরে এক সময় জানবো।
আমরিন: তো চলো ওই দিকটায় বসি।
আমরিন আর তাসফি একটা রেস্টুরেন্টে বসে গল্প করছে আর একটু নাস্তা করছে।
তাসফি: আচ্ছা আমরিন একটা সত্যি কথা বলবে???
আমরিন: জ্বি অবশ্যই যদি জানি তো বলবো।
তাসফি: মায়া তোমাকে কি বলে গেলো???প্লিজ আমাকে বলবে কি???
আমরিন: এটা আমি বলতে পারছি না,কারণ তাকে আমি কথা দিয়েছি।
তাসফি: আমাকে যে তুমি কথা দিলে যদি জানো তো বলবে তাহলে সেটা কি হলো??
আমরিন আর কিছু না বলে চুপ চাপ তাসফিকে জরিয়ে ধরে।
তাসফি তো পুরোই অবাক কি হলো আমরিন তাকে কেনই বা জরিয়ে ধরলো.
আমরিন: তাসফি সত্যি আমিও তোমাকে ভালোবাসি কিন্তু তোমাদের দুই বোনের প্যারায় সব কিছু ভুলে গিয়েছি কাকে রেখে কাকে ভালোবাসবো।
তাসফি: এই তোমার মাথা ঠিক আছে কি সব আবল তাবল বলছো???
আমরিন: আমি সত্যি বলছি।আর মায়া এটাই বলে গেলো তুমি নাকি আমাকে ভালবাসো অনেক।তাইতো মায়া আমাকে তোমায় নিজের করে নিতে একা করে গেলো।।
তার পর আর কি আমরিনের পরিবারের ও তাসফির পরিবারের সবাই তাদের সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয়।আর তাদেরকে মেনেও নেয়।
আমরিন ও তাসফির কলেজ লাইফ শেষ হলে তাদের দুইজনকে বিয়ে দেওয়া হয়।
তিন বছর পর..
তাযনিন: মাম্মী মাম্মী কোতায় তুমি
হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন আমরিন আর তাসফির ভালোবাসার ফসল।
দোয়া করবেন আমরিন ও তাসফির জন্য
Pingback: সিনিয়র খালাতো বোনের প্যারা – পার্ট ১ | Romantic Story