Amrin Talokder
আমিঃ(ফোন রিং হচ্ছে) আসসালামু আলাইকুম, এই যে ম্যাডাম কেমন আছেন?
ফাতেমাঃ জ্বি ওয়ালাইকুম আসসালাম,আলহামদুলিল্লাহ ভালো,তুমি কেমন আছো?
আমিঃ জ্বি আলহামদুলিল্লাহ, তা কি করছেন মহরাণী?
ফাতেমাঃ উমম,ঘুমাচ্চিলাম
আমিঃ ওহহহ,কয়টা বাজে এখনও ঘুমাচ্ছেন যে?১২ টা তো বেজে চললো উঠতে হবে না??
ফাতেমাঃ হুমমম
আমিঃ তাহলে উঠে ফ্রেশ হও,আর খেয়ে নাও কেমন পাগলি
ফাতেমাঃ হুমমম,
আমিঃ আচ্ছা রাখি পরে কথা হবে
ওহহহ এত্তক্ষণ যে বকবক করে যাচ্ছি কার সাথে কথা বলছি পরিচয় দিতে ভুলে গেছি
আমি আমরিন তালুকদার, আর যার সাথে কথা বললাম তার নাম ফাতেমা,তাকে আমি অসম্ভব রকম ভালোবাসি, আর সেও আমাকে অসম্ভব রকম ভালোবাসে,
তার সাথে দেখা হয় আমার কলেজ ক্যাম্পাসে, আর তাকে প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেলছি, তাকে পাওয়ার জন্য তাকে একটু দেখার জন্য অনেক কিছু করা,তার পর তাকে আমার জীবনের সাথে জরিয়ে নিতে স্বার্থক হইছি।
তার সাথে আমার চার বছরের রিলেশন আর পরিবারের সবাই আমাদের কথা জানে,আর আমি একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আর সেও
তার পরিবার ও আমার পরিবার থেকে বিয়ের সব কিছু ঠিক করা,শুধু একটু সময়ের অপেক্ষা, তার পর তাকে নিজের করে নিব।
এভাবেই চলছিলো আমাদের খুনশুটি ভালোবাসা, আস্তে আস্তে আমরা একে অপরকে এরকম ভালোবাসি যে কেও কাওকে ছারা একটা মুহুর্ত থাকতে পারি না।
দেখতে দেখতে আমাদের বিয়ের মাধ্যমে আমি তাকে আপন করে নেই।আর আজ আমাদের বাসর রাত।বন্ধুরা সবাই মিলে অনেক সুন্দর করে বাসর ঘর সাজিয়েছে আমাদের জন্য
বাসর ঘরে বসে আছে আপনার অনেক দিনের সাধানা করে পাওয়া ভালোবাসার মানুষটি।যার জন্য আমি চারটি বছর অপেক্ষা করেছি,আর আজ তাকে আপন করে পেয়ে গেলাম
বাসর ঘরে ডুকে দরজা আটকিয়ে পিছন ঘুরতেই পাগলিটাহ আমার সামনে এসে পা ধরে সালাম করতে নেয়।কিন্তু আমি তাকে ধরে বুকের সাথে জরিয়ে নেই আর বলতে থাকি।
আমিঃ তোমায় ভালোবেসে স্থান দিয়েছি বুকের বা পাশে পায়ে নয়,তাই তোমার স্থান পায়ে নয়, আমার এই বুকের মাঝে হৃদয়ের অন্তরস্থলে।অনেক বেশি ভালোবাসি পাগলি তোমায়
ফাতেমাঃ জ্বি জনাব আমিও আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসি, সারা জীবন এভাবে ভালোবেসে যেও,কখনও রাগ, অভিমান ঝগড়া করে দুরে সরে যেও না
আমিঃ আরে জানেমান তোমায় ভালোবেসে তোমার এই হাত ধরেছি, যতই রাগ অভিমান ঝগড়া হোক না কেন দিন শেষে রাতে ঘুমানোর সময় তোমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমাতে চাই,আমাকে সেই সুযোগটা দিও,ঝগড়া হলেও তুমি দুরে সরে থেকো না
ফাতেমাঃ কখনওই না,আপনাকে ছারা আমার একটা মুহুর্ত নিশ্বাস নিতে কষ্ট হবে।আমি কখনও আপনার থেকে দুরে সরে থাকবো না, i love you Amrin
আমিঃ i love you tooo pagli...
ফাতেমাঃ আপনার অযু আছে??যদি না থাকে তো অযু করে আসেন যান।
আমিঃ আচ্ছা দারাও দুই মিনিট আমি অযু করে আসতেছি।
তার পর আমি ওয়াশরুম থেকে অযু করে এসে পাগলিটার সামনে দারাই, তার পর সে আর আমি দুই রাকাত নফল নামাজ পরে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার কাছে দু হাত তুলে দোয়া করি যেন আমরা একে অপরকে সারা জীবন বুঝার ক্ষমতা রাখতে পারি,শত ঝগড়ার মাঝেও দিন শেষে রাতের আধারে তাকে বুকের সাথে জরিয়ে নিয়ে ঘুমাতে পারি,তাকে ছেরে যেন না থাকতে হয়,বৃদ্ধ বয়সেও তার পাশে থেকে ভালোবেসে যেতে পারি।
নামাজ শেষে দুজনই জায়নামাজ গুছিয়ে রেখে তাকে ধরে নিয়ে বিছানায় বসিয়ে দেই।তার পর বিছানায় বসে পাগলিটাহকে বউ সাজে এক পলকে দেখতে থাকি।
ফাতেমাঃ ওইইই,কি দেখো
আমিঃ উমমম ডিস্টার্ব করও না তো,আজ অনেক বছর অপেক্ষার পর প্রিয় মানুষটিকে বউ সাজে দেখছি তাও নিজের জীবনের পথ চলার সাথী হিসবে একটৃ দেখতে তো দিবা
ফাতেমাঃ উমমম,দেখবেন তো, আমি তো আর চলে যাচ্ছি না,এখন থেকে আপনার কাছেই থাকবো সব সময়, এখন আর দুরে থাকছি না হুমম বুঝতে পারছেন
আমিঃ হুমমম,বুঝছি মহারাণী, তা শুরু করবো নাকি
ফাতেমাঃ কি শুরু করবা
আমিঃ এক তল ক্রিকেট টিম বানানোর জন্য কাজ শুরু করতে হবে না বলো
ফাতেমাঃ ঠাসসসস,চুপপপপ কুত্তা
আমিঃ তুমি আমায় মারলা কেন
ফাতমোঃ থাপ্পড়িয়ে দাঁত ফেলে দিব, তোর কি লজ্জা বলতে কিছু নাই,এত্ত মানুষের সামনে কেন বলতেছিস
আমিঃ এত্ত মানুষ.....ওহহহ স্যরি পাগলিটাহ,এই যে ভাই বোনেরা আপনারা যান, আমরা এখন আমাদের কাজ করি সকালে দেখা হবে আপনাদের সাথে
তার পর আর কি পাগলিটাহর সাথে ভালোবাসার স্পর্শে এঁকে যাই তুজন দুজনার, সকাল বেলা ফজরের আযানে ঘুম ভেঙ্গে যায়,ঘুম থেকে উঠে গোসল করে মসজিদে চলে যাই,ফজরের নামাজ পরে এসে পাগলিটাহ দেখি এখনও ঘুমাচ্ছে, ঘুমন্ত অবস্থায় একজন নারীকে এত্ত সৌন্দর্য লাগে তা আজকে না দেখে বুঝতামই না। ( যারা যারা এখনই বিয়ে করেন নি তারা তারাতারি বিয়ে করে ভালোবাসার মানুষটির ঘুমন্ত অবস্থায় সৌন্দর্য খুঁজে নেন,আর যারা বিয়ে করছেন তাদের উদ্দেশ্য বলছি নিজের বউকে ভালোবাসতে শিখুন, অন্য মেয়েদের দিকে তাতিয়ে চোখের হেফাজত নষ্ট না করে নিজের বউএর দিকে নজর দিন,চোখের হেফাজত থাকবে,আর নিজের বউ এর সৌন্দর্য খুঁজে পাবেন,ভালোবাসতে জানলে প্রিয় মানুষটিকে সব সময় সুন্দর লাগে)
যাইহোক নামাজ পরে এসে পাগলিটার ঘুমন্ত অবস্থায় মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে তার কপালে আর গালে ভালোবাসার পরশ এঁকে দিয়ে তার পাশে শুইয়ে পরি, কি করবো আর নতুন বিয়ে করছি এত্ত সকালে বউকে রেখে যদি বাইরে যাই মানুষ বলবে বিয়ে করেই বউ এর কাছে থাকে না,তাই জরিয়ে ধরে শুইয়ে পরি,কখন যে সকাল ১১ টা বেজে গেছে বুঝতেই পারিনি।
ঘুম থেকে উঠে দেখে বউ আর নেই।আরে ভাই থামেন বউ পালাই যায় নি,বউকে বাড়ির সবাই ঘিরে ধরে মধ্যে খানে বসিয়ে দিছে আর আমার সদ্য বিয়ে করা নিষ্পাপ বউটা বলির পাঠার মতো সবার মাঝে বসে বসে গল্প শুনছে।
আমার দিকে তাকাতেই একটু করুণ চাহনী দিৱো,তাতে বুঝতে বাকী রইলো না যে তার সেখানে আনইজি ফিল হচ্ছে, তাই কোন একটা উপায় খুঁজতে খুঁজতে বোনকে বললাম যে তোর ভাবিকে এখানে একটু ডেকে নিয়ে আয়।
বোনঃ কিন্তু আমার কি লাভ
আমিঃ কিহহহ,এখানে লাভ লোকসানের কি আছি,আমি তোর ভাই, তোর ভাবিকে ডেকে দিতে বলছি, আর তুই বলিস তোর লাভ কি
বোন ঃ জ্বি জনাব, যদি ৫০০০ টাকা দেন তো ডেকে নিয়া আসতে পারি না হয় বউ এর অভাবে এখানে পচে মরে থাকেন
কি এক অবস্থা, নতুন বিয়ে করেছি, নিজের বাড়ি হলেও নতুন বউ নিয়ে আসচ্ছি তাই ডাক দিতে পারছি না,তাই বাধ্য হয়ে বোনের কাছে বলির পাঠা নিজে হতে হলো,তার পর তাকে আমার কাছে এনে দিতেই রুমে নিয়ে যেয়ে আমার উপর এক রাশ কথা ঝারতে শুরু করলো।
ফাতেমাঃ তোরে কখন বলছি আমাকে ওইখান থেকে নিয়া আসতে,তুই দেরি করলি কেন,তুই ডাক দিলি না কেন,তোর সাথে কোন কথা নাই আমার,তুই আমার কাছে আসবি না।
আমিঃ ফাতেমা, ওই পাগলি শুনো ন....
ফাতেমাঃ চুপপপ,তোর কোন এক্সকিউজ শুনতে চাই না।
,বলেই তার ননদ মানে আমার বোনের সাথে চলে গেলো গল্প করতে তার রুমে।আমি বুঝলাম না কি হলো, তাই করুণ চোখে তার চলে যাওয়া দেখতেছি হঠাৎ করেই বোন এসে বলে গেলো
বোনঃ কি কেমন দিলাম জনাব, বউ কে এত্ত কাছে চাওয়া তাই না,দিছি না বাঁশ
আমিঃ ওহহহ,তাহলে তোর বুদ্ধি সব, দেখে নিব নি আমিও সময় আসবে আমার।
তার পর চুপচাপ বসে আছি বিছানায় ভালো লাগতেছিলো না,তাই বিছানায় শুইয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছি কোলবালিশ জরিয়ে ধরে,হায়রে কপাল বিয়ে করলাম বউকে জরিয়ে ধরে ঘুমাবো বলে,আর কি পোরা কপাল বউ থাকতেও কোলবালিশ জরিয়ে ধরে ঘুমাতে হচ্ছে।ঘুমিয়ে গেছি হঠাৎ কে যেন কোলবালিশ টান মেরে ছিলে ফেললো,যাহহ এত্ত সুন্দর ঘুমটারে এভাবে নষ্ট করে দিলো,
আমিঃ এই সমস্যা কি ঘুম নষ্ট করলি কেন তুই
ফাতেমাঃ তুই কাকে তুই বললি
আমিঃ তুই কেড়া
ফাতেমাঃ তাই না, আমি কে?আমারে চিনিস না,দ্বারা চিনাচ্ছি।
বলেই ফাতেমা আমার উপর জাপিয়ে পরলো, আরে মিয়া থামেন আদর করার জন্য না,মাইর দেওয়ার জন্য
আমিঃ ফাতেমা থামবা না, আমি বেথা পাচ্ছি।
ফাতেমাঃ তাহলে তুই আমারে তুই করে কেন বললি বল,আর কেন বললি চিনিস না আমাকে,তুই চিনিস না আমারে বল,আর তুই কোলবাশিস নিয়ে শুইছিস কেন,
আমিঃ তুমি তখন চলে গেলা কেন,আমি তোমাকে ডেকে আনার জন্য বোনকে পাঠাইছি,আর তুমি এসে রাগ করে চলে গেছো তো কি করবো
ফাতেমাঃ তুই ডেকে পাঠাইছিস নাকি মিথ্যে বলিস, আমি জানি না তুই কত্তটা মিথ্যে বাদী,
আমিঃ আমি মিথ্যা বাদী না, আচ্ছা মিথ্যে বাদীর উপর থেকে সরো আমার কাছে আসতে হবে না,আমি চলে যাবো।
ফাতেমাঃ কই যাবি তুই আমায় রেখে,
আমি’ : মরতে যাবো যাবা,বলেই রাগ করে সেখান থেকে উঠে ওয়াশরুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বাইরে এসে দেখে পাগলিটাহ কান্না করে বাড়ির সব লোকজন রুমের মাঝে হাজির করছে।
হায় আল্লাহ এবার কি হবে,তারে তো আমি কিছু বললামই ন্,এমনেই কেঁদে মানুষ জরো করে ফেলছে,হায় আল্লাহ আব্বু আসচ্ছে,তাহলে আজকে আর রক্ষা নেই, আজ কেলানি খেতেই হবে।
ভাবতে না ভাবতেই আব্বু ফাতেমাকে জিজ্ঞেস করলো আমি কি করছি।আমি শুধু আল্লাহ আল্লাহ করছি যে কিছু না বলুক,কিন্তু আমার নামে সব রকমের মিথ্যে কথক বানিয়ে বানিয়ে বলে দিলো,আর আব্বু আমাকে এই বয়সে ইচ্ছে রকম কেলানি দিলো
আমারও জিদ চাপলো, আমি কিছু করলাম না ধরলাম না,আমি নাকি তার গায়ে হাত তুলছি,সে সবার মাঝে বসে ছিল,আমি নাকি জোর করে ডেকে আনছি,আর তাকে ডেকে আনার পর নাকি তাকে বকা দিছি।বাহহ ভালো অভিনয় করতে পারলো,তাই আব্বুর কথা মতো ঘর থেকে বের হয়ে গেলাম,বের হওয়ার সময় তার দিকে তাকিয়ে দেখি সে করুণ চোখে তাকিয়ে আছে।হয়তো দয়া দেখাতে চাচ্ছে কিন্তু তার করুণ চাহণীকে তোয়াক্কা না করে আমি বের হই আসি,
হায় রে কপাল বিয়ে করে বাসর করার পর দিনেই বাড়ি থেকে বের হই আসতে হবে কখনও ভাবিনি, আপনারা আবার এমন মেয়ে বিয়ে কইরেন না যে আপনার জীবনটা তেজপাতা করে দেয়।
বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেছি, কি করবো কোথায় যাবো বুঝতে পারছি না,কারণ কোন টাকা পয়সা বা মোবাইল ফোনটাও নিয়ে আসিনি,খালি হাতে ফাঁকা রাস্তায় হাঁটতেছি।সকাল থেকে কিচ্ছু খাই নি খুদাও লাগছে প্রচুর, কিন্তু সব শেষে সমস্যা বাধছে কারও সাথে কোন কন্টাক করতে পারছি না,বা টাকাও নেই যে কিছু কিনে খাবো,রাগের বশে বাসা থেকে বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে অনেক দুরে এসে পরছি, এখান থেকে যে কিছু কিনে খাবো পরে দিয়ে দিব তার অপশন নেই।তাই খুদা পেটে নিয়ে হাঁটতেছি আর ওই দিকে।......
কি জন্য যে ওমন করতে গেলাম,পাগলটা যে কোথায় আছে,ফোন নিয়ে যায় নি,কই গেছে কে জানে, টাকা নিয়ে গেছে কিনা তাও তো জানি না,এর মাঝে আম্মু তিন বার খেতে ডাকছে কিন্তু আমি যাই নি খেতে তাই আম্মু খাবার রুমে দিয়ে গেছে কিন্তু খাবো কি করে,পাগলটাকে ছারা,আমার নিজের মাথার চুল নিজেরই ছিড়তে ইচ্ছে করছে,।।
এভাবে দুপুর ঘড়িয়ে রাত্রি হই যায় আমি কিচ্ছুই খাইনি, সারাদিন না খেয়ে থাকার জন্য শরীরে এখন হাঁটার শক্তিটাও পাচ্ছি না,হঠাৎ করে মাথা ঘুরে রাস্তার মাঝে পরে যাই,তার পর আর কিছু মনে নেই।
সারাটা দিন ধরে কই আছে কই গেছে কিচ্ছু জানি না, ভালো লাগতেছে না,সারাদিন কান্না করতে করতে চোখ মুখ লাল করে ফেলছে ফাতেমা,আম্মু অনেক বার ডেকেছে খেতে কিন্তু ফাতেমার একটা কথা যে সে আমাকে ছারা এক ফোঁটা পানিও খাবে না,তাই সেও না খেয়ে আছে।
আর ওই দিকে আমি রাস্তার মাঝে পরে আছি জ্ঞান হারিয়,যখন জ্ঞান ফিরলো তখন দেখি আমি হসপিটালের বেডে,কিন্তু আমি এখানে কেন ভাবতেই সব কিছু মনে পরে গেলো,কিন্তু আমার বুকের মাঝে এত্ত ওজন কেন,বুকের দিকে তাকাতেই দেখি ফাতেমা আমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমাই গেছে।
আমার একটু নড়াচড়াতে ফাতেমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।ঘুম ভাগতেই ফাতেমা আমার সারা শরীরে পাগলের মতো কিস করতে থাকে,আমি তো তাকে দেখে হতভম্ব হয়ে আছি,কারণ তার চোখের নিচে কালো দাগ পরে আছে,আর অনেক অসুস্থ লাগছে তাকে।
আমি যখন জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পরি তখন কেও একজন রাস্তার পাশ দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছলো, আমাকে দেখে সে হসপিটালে এডমিট করায়,তার পর যে হাসপাতালে নিয়ে আসে সেখানে আমাদের চেনা ডাক্তার থাকায়,ডাক্তার আন্কেল বাসায় ফোন দিয়ে জানিয়ে দেয়,তার পর বাসার সবাই হসপিটালে ছুটে আসে।
২৪ ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরলে দেখি ফাতেমা আমার বুকের উপর মাথা দিয়ে ঘুমাই গেছে,তার পর তো আপনারা জানেনই।
আমার জ্ঞান ফিরলে আম্মু সাথে করে ভাত নিয়ে এসে ফাতেমার হাতে দেয়।আর ফাতেমা হাত ধুয়ে এসে নিজ হাতে আমাকে খাইয়ে দেয় আর কাঁদতে থাাকে
আমিঃ আরে পাগলি কি হইছে আমি তো আছি তাই না,তোমার এমন অবস্থা কেন, তোমাকে অসুস্থ লাগতেছে।
আব্বুঃ তুই চলে আসার পর শুন তো এক ফোঁটা পানি মুখে দিছে কিনা
আমিঃ আব্বু স্যরি, আসলে তখন প্রচন্ড রাগ ছিল মাথায়,তাই রাগকে কন্টোল করতে না পেরে বের হই গেছি,আর এমন হবে না।
তার পর ফাতেমা আমাকে, আর আমি ফাতেমাকে খাইয়ে দেই।আমাদের ভালোবাসার মুহুর্ত দেখে সবাই রুম থেকে বের হই যায়।আর খাওয়া শেষে দুজন দুজনকে অনেক শক্ত করে জরিয়ে ধরি
ফাতেমাঃ আমাকে তুমি ক্ষমা করেও, আমি আর এমনটা করবো না কখনও
আমিঃ আরে পাগলি কি হইছে,কিছু হই নি তো,আর আমি কিছু মনে করিনি।।
ফাতেমা তার পরও কান্না থামাচ্ছে না,তাই আমি ফাতেমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে তার ঠোঁটে ভালোবাসার স্পর্শ এঁকে দেই,ফাতেমাও আমার সাথে রেসপন্স দিচ্ছিলো,৫ মিনিট পর ছেরে দিয়ে দুজনই হাফাচ্ছি,আর পাগলিটাহ,লজ্জায় লাল হই গেছে
আজ আমাদের ভালোবাসার পাঁচ বছর পূর্ণ হলো,আর আমাদের ভালোবাসার সৃতি স্বরুপ আমাদের ছেলে সন্তান হইছে,আর আমাদের জন্য দোয়া করবেন,আমাদের ভালোবাসা যেন এভাবে অটুট থাকে সারা জীবন।আর আপনাদের জন্য একটা কথা ঝগড়া, রাগ অভিমান হলে কখনও বিয়ে করা স্ত্রীর উপরে হাত তুলবেন না,কারণ স্ত্রীর উপরে হাত তুললে বীর পুরুষ সাজা যায় না,তাই স্ত্রীকে ভালোবাসতে হবে, আর তাকে সময় দিতে হবে।
ধন্যবাদ এত্তক্ষণ ধরে গল্পটি পরার জন্য
সমাপ্ত