আয়নায় আইরিনকে দেখে সিজান মুগ্ধ হয়। অনেক সুন্দরী লাগছে আইরিনকে। কারো যেনো নজর না লাগে তার বউয়ের উপর, "মনে মনে সে বলল।
এইদিকে সিজানের কমেন্ট শুনে আইরিন মুচকি হাসে।
অবশেষে তিনবার কবুল বলে আইরিন হবু বউ থেকে সিজানের পার্মানেন্ট বউ হয়ে যায়।
সিজানও তিনবার কবুল বলে হবু জামাই থেকে, আইরিনের পার্মানেন্ট জামাই হয়ে যায়।
এবার কনে বিদায়ের পালা,
আর পাঁচ দশটা কনে বিদায়ের মতো, আইরিনের ক্ষেত্রেও সেইম কাজটাই হয়। কিছুক্ষণের জন্য কান্নার ধুম পড়ে যায় কনে বাড়িতে। আইরিনের আম্মু-আব্বু, ভাই আইরিনকে সিজানের হাতে তুলে দেয়।
সিজান, নিজের বউকে নিয়ে চলল নিজের বাড়িতে।
!!
নিজের বাড়িতে নিয়ে আসতেই সবাই হুড়মুড়িয়ে পড়ল নতুন বউকে দেখতে। সিজান ফ্রেশ হয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠে। বন্ধুরা সিজানকে নিয়ে হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠে। নানান জনে নানান রকম কথা বলে।
" বন্ধু আমার আজকে বিড়াল মারবে। হাহা।
" দেখিস বন্ধু বিড়াল মারতে গিয়ে আবার নিজে বিড়াল হয়ে যাস না।
" আরে না আমার বন্ধু বিড়াল হতে না, বিড়াল মারতেই বিয়ে করেছে।।
সিজান কমেন্ট গুলোর প্রতিত্তোরে বলে,
" করো হাসি ঠাট্টা যতো পারো করো। আমারও সময় আসবে। তখন আমিও বুঝাবো কত ধানে কত চাল।
সিজানের কথা শুনে সবাই হো হো করে হেসে উঠে।
বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সিজান বাসর ঘরের উদ্দেশ্যে চলল। এখান এসে আরেক মসিবতে পড়ল। কাজিন রা সব দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। টাকা না দিলে ভিতরে ঢুকতে দিবে না।
" টাকা পরে নিস, এখন আমার কাছে টাকা নাই।
" না না। ভাইয়া তা তো বললে হবে না। বাকির নাম ফাঁকি। টাকা এখন দিতে হবে। নাহলে বউয়ের সাথে বাসর করতে তোমাকে দেওয়া হবে না।
সিজানও ওদের সাথে না পেরে, পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে ওদের টাকা ওদের বুঝিয়ে দিয়ে রুমের ভিতর ঢুকলো। দরজা বন্ধ করে দিয়ে বিছানার উপর বসা নতুন বধুর দিয়ে সে এগিয়ে চলল।
সিজান গিয়ে বিছানায় তার বউয়ের পাশে বসে। তার বউ ইয়া বড় ঘোমটা টেনে বসে আছে।
সিজান আস্তে আস্তে তার বউয়ের ঘুমটা মুখ থেকে তুলল। তার বউয়ের মুখশ্রী দেখে সে বলল,
" মাসাল্লাহ, নজর যেনো না লাগে।
সিজানের কমেন্ট শুনে আইরিন মুচকি হাসে। আইরিন নিচের দিকেই তাকিয়ে ছিল। সিজান আস্তে করে, আইরিনের মুখটা উপরে তুলল। দুজনের চোখাচোখি হয়।
" ভালোবাসি আইরিন।
" আমিও ভালোবাসি আপনাকে।
" তোমাকে এই রূপে আমার দেখা হয়ে গেছে। এখন তুমি গিয়ে এই ভারী গয়না, শাড়ি চেঞ্জ করে আসো।
" আচ্ছা ঠিকাছে।
আইরিন শাড়ি চেঞ্জ করতে ওয়াশরুমে চলে যায়। সিজান অপেক্ষা করতে থাকে।
কিছুক্ষণ পর আইরিন শাড়ি চেঞ্জ করে আসে। সিজান বিছানা থেকে উঠে, আইরিনকে হুঠ করে কোলে তুলে নেয়।
" এই কী করছেন?
" বউকে কোলে নিয়েছি।
" কেনো?
" আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই।
" আপনার আর কী কী ইচ্ছা হচ্ছে শুনি?
" তোমাতে মেতে উঠতে ইচ্ছা করছে।
সিজানের কথা শুনে আইরিন লজ্জায় সিজানের বুকে মুখ লুকায়। সিজান হেসে দেয়।
" আইরিন, আজকে কি তোমার ভালোবাসায় মেতে উঠতে আমাকে অনুমতি দিবে? আমি অনুমতি চাইছি।
আইরিন কিছু বলে না, হাত দিয়ে শক্ত করে সিজানের টিশার্ট আকড়ে ধরে। মৌনতা সম্মতির লক্ষন বুঝে সিজান, আইরিনকে নিয়ে বিছানায় চলে যায়। আইরিনকে বিছানায় শুইয়ে মুহুর্তেই আইরিনের ঠোঁট জোড়ায়, নিজের ঠোঁট জোড়া মিলিয়ে দেয়।
কিছুক্ষণ আইরিনের ঠোঁটের ছোঁয়া নিয়ে সিজান উঠে নিজের টিশার্ট খুলে ছুড়ে ফেলে দেয়। আবারও আইরিনের ভালবাসায় মেতে উঠে সে। আইরিনের ঘাড়ে, গলায় মুখ ডুবায়। সিজানের ভালোবাসায় আইরিন পাগল হয়ে যাচ্ছে। সে কেঁপে কেঁপে উঠছে।
তার এক হাত বিছানার চাদর খামছে ধরে। অন্য হাত দিয়ে সে সিজানের চুলের মুঠি শক্ত করে চেপে ধরে। যেনো চুল সব তুলে ফেলবে।
মুহুর্তের মধ্যে সিজান, আইরিনকে নিয়ে গভীর ভালোবাসায় ডুব দেয়। দুজনে মেতে উঠে ভালোবাসার খেলায়। তাদের এই ভালোবাসার সাক্ষী রইল রুমের আনাচে কানাচের ছড়িয়ে ছিটে থাকা জিনিসপত্র।
!!
সকালবেলা
আইরিনের ঘুম ভাঙলে, সে নিজেকে সিজানের বুকের উপর আবিষ্কার করে। গত কাল রাতের কথা মনে পড়তেই লজ্জায় সে কুকড়ে যায়। এই মানুষ টা গতকাল তাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছে। তালে অন্য এক জগতে নিয়ে গিয়েছিল।
আইরিন কথা গুলো ভেবে ভেবে ব্লাশিং হচ্ছে। আইইরনের ননড়াচড়ায় সিজানেরও ঘুম ছুটে যায়। চোখ মেলে তাকাতেই সে দেখে আইরিন কিছু ভেবে ভেবে ব্লাশিং হচ্ছে। সিজানের বুঝতে দেরি হয় না। সে হেসে দেয়।
" গুড মর্নিং বউ।
" গুড মর্নিং, ঘুম ভেঙেছে.?
সিজান, ঝুকে আইরিনের কপালে চুমু দিয়ে বলে,
" হু, তোমার নড়াচড়ায় ভেঙে গেছে।
" হু, আমি মোটেও নড়াচড়া করিনি। আমি চুপচাপ শুয়ে ছিলাম। আর আপনার হার্টবিট শুনছিলাম।
" এবার আমাকে একটু তোমার বুকের হার্টবিট শুনতে দেও।
" নায়ায়া..
সিজান, আইরিনকে নিজের বুক থেকে নামিয়ে আইরিনের বুকের উপর নিজের মাথা দিয়ে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ে।
" ইস! আপনি না? আমার লজ্জা লাগছে।
" গতকাল রাতেই তো লজ্জা ভেঙে যাওয়ার কথা।