এবার আমাকে একটু তোমার বুকের হার্টবিট শুনতে দেও।
" নায়ায়া..
সিজান, আইরিনকে নিজের বুক থেকে নামিয়ে আইরিনের বুকের উপর নিজের মাথা দিয়ে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ে।
" ইস! আপনি না? আমার লজ্জা লাগছে।
" গতকাল রাতেই তো লজ্জা ভেঙে যাওয়ার কথা। এখনো লজ্জা ভাঙতে পারিনি। তাহলে আরেকবার হয়ে যাক।
" খবরদার একদম না। আমার এখন উঠতে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই ডাকাডাকি শুরু করবে। নতুন বউ এতো সময় ঘুমালে, সবাই খারাপ কথা বলবে।
" কেউ খারাপ কথা বলবে না। বিয়ের পরের দিন কেউ ডিস্টার্ব করতে আসবে না। সবাই বুঝে জামাই বউ কি করে। (চোখ টিপ দিয়ে)
" ছি! আপনার মুখে সারাক্ষণ উল্টাপাল্টা কথা।
সরেন আমার উপর থেকে, সরেন।
আইরিন ধাক্কা দিয়ে উঠতে চাইলে, সিজান শক্ত করে চেপে ধরে আইরিনের ঠোঁটে, নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।
!!
আইরিন ফ্রেশ হয়ে বসে আছে। কেউ ডাকলে বাহির হবে।। বলতে না বলতে ডাকাডাকি শুরু হয়ে যায়।
আইরিন দরজা খুলতে সিজানের কাজিনেরা হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে।
" নবাবজাদা টা কই?
এসে দেখে সিজান শুয়ে আসে।
" কী খবর ভাইজান? বউকে ছাড়তে ইচ্ছে করে না বুঝি? বিয়ের পরেরদিন কতো কাজ, নিয়মকানুন মানতে হয়, জানেন না বুঝি?
" ডিস্টার্ব করিস না। এইসব নিয়মকানুন এর ধার ধারি না আমি। তোদের নতুন বউকে দরকার, তাইতো? যা নিয়ে যা। আমি এখন ঘুমাবো।
" এতো বেলা কীসের ঘুমাবো?
এর উওরে অন্য একটা কাজিন বলে,
" ঘুমাবেই তো, রাতে তো ঘুমাতে পারে নি। বুঝিস না কিছু তোরা, হ্যাঁ?
সবাই সমস্বরে বলে উঠল,
" ওওঅঅঅঅঅঅ। তাই তো। তাই তো।
ওদের কথা শুনে আইরিনের মন চাচ্ছে লজ্জায় মাটির নিচে ঢুকে পড়তে। কি সব কথা বলছে? একটারও লজ্জা শরম নাই।
সিজানের কাজিনেরা, আইরিনকে নিচে নিয়ে যায়।
কিছু নিয়ম কানুন মানার পরে তারা আইরিনকে ছাড়ে। আইরিন রুমে চলে আসে। এসে আর সিজানকে পায় না।
এইদিকে সিজান নিচে নেমে কাজ কেমন চলেছে, কতোদূর হলো, তার তদারকিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আজকে বৌ ভাত, কোনোকিছু কমতি হওয়া চলবে না।
দেখাশোনা, তদারকির পর্ব শেষ হলে সে নিজের রুমে ফিরে আসে। সে এসে আইরিনকে পায় না। হয়তো কাজিন রা এসে নিয়ে গেছে।
সিজান গোছল করার জন্য ওয়াশরুমে চলে যায়।
তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিতে হবে। যেকোনো সময় তার শশুর বাড়ি থেকে লোকজন এসে পড়বে।
গোছল করা শেষ হলে সিজান জামাকাপড় পড়ে রেডি হয় নেয়।
রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে লোকজন চলে আসে। সিজান সবাইকে আপ্যায়ন করতে থাকে। খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হলে, আইরিন সহ নতুন জামাইকে নিয়ে তারা চলে আসে।
এটাই নিয়ম।
"!
সিজান, শশুরবাড়িতে এসে নতুন জামাইয়ের আপ্যায়ন ভালোই উপভোগ করে। আইরিন, সিজানকে নিজের রুমে নিয়ে আসে। রুমে আসতেই সিজান, বিছানায় শরীর এলিয়ে দেয়।
আইরিন বিছানার পাশে গিয়ে বসে। আইরিন বিছানার পাশে বসতেই সিজান, আইরিন কে একটান দিয়ে নিজের উপর ফেলে দেয়।
" আহ! কি করছেন কী?
" কী করছি? ( আইরিনের সামনে আসা চুল গুলো কানের একপাশে গুজে দিয়ে)
" দুষ্টামি শুরু করে দিয়েছেন।
" দুষ্টামি না, ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে। তোমাকে শুধু কাছে পেতে ইচ্ছে করে।
" আমি তো কাছেই আছি।
" এই কাছে সে কাছে না। ( চোখ টিপ দিয়ে)
সিজানের কথার ধরন আইরিন ভালোভাবেই বুঝে যায়। তাই সে সিজানের কাছ থেকে ছুটার জন্য মোচড়ামুচড়ি শুরু করে দেয়।
" ছাড়েন আমাকে। সবসময় মাথায় শুধু কুবুদ্ধি খেলা করে,হ্যাঁ?
" যাহ বাবা! ভালোবাসার কথা বলতেছিলাম। সে বলে আমার মাথায় নাকি কুবুদ্ধি খেলা করে।
" কুবুদ্ধিই খেলা করে আপনার।
সিজান কথা না বলে আইরিনের মুখের কাছে নিজের মুখ নিয়ে যায়। আইরিন চুপ হয়ে যায়। সে সিজানের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে৷ এক অন্যরকম ঘোরে চলে যায় সে। মুহুর্তেই সিজান, আইরিনের ঠোঁট যুগল ভালোবাসার খেলায় মত্ত হয়ে উঠে।
!!”
আইরিন, সিজানকে নিয়ে বাইরে হাটতে বের হয়।
কিছুটা পথ হাটতেই, আইরিনের বান্ধুবীদের সাথে দেখা হয়।
" কি গো বান্ধুবী। জামাই তাহলে বানিয়েই ফেললি?
" হুম ফেললাম। অনেক নজর দিয়েছিলি তোরা। এখন দুলাভাই ডাক।
" দুলাভাই কেমন আছেন?
" ভালো আছি শালিকা। তোমরা কেমন আছো?
" আমরাও ভালো আছি। তা কোথায় যাচ্ছেন?
" এইতো হাটতে বের হয়েছি। তোমাদের গ্রাম টা আমার বরাবরই ভালো লাগে।
" তাহলে আমাদের কাছে থেকে যান না।
" এইই তোদের কাছে থাকবে মানে? ( আইরিন রাগ দেখিয়ে)
" ভুল বুঝিস কেন? আমাদের গ্রামে থাকতে বলেছি।
" হইছে, এখন তোরা যা। আমার জামাইকে নিয়ে একটু শান্তিতে আমাকে হাটতে দে।
" এ্যা ঢঙ। যা জামাইয়ের কোলে উইঠা বইসা থাক।
আইরিনের বান্ধুবীরা তাদের পথে চলে যায়। আইরিন জোরে বলে উঠে,
" হ দরকার হইলে বইসা থাকুম। তোরা বলতে হবে না।