Linksstories

linksstories` logo
তোমার আমার প্রেম - পার্ট 7 | Bangla Romantic Story

তোমার আমার প্রেম – পার্ট 7 | Bangla Romantic Story

একদম মেরে ফেলবো আপনাকে । আমিই প্রথম, আমিই যেনো শেষ হই.?
” আচ্ছা আচ্ছা। (হেসে)
” আপনার কাধে মাথা রাখবো?
” না।
” আমি রাখবো। আপনি বললে হবে নাকি?
আইরিন, সিজানের কাধে মাথা রাখে। সিজান হেসে দেয়।
” তাহলে অনুমতি নেওয়ার কী দরকার ছিল,হুম?(হেসে)
” দেখলাম, অনুমতি দেন কিনা.? কিন্তু না আপনি তো অনুমতি দিবেন না।
” আমার অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই। তোমার যখন ইচ্ছা আমার কাধে মাথা রাখতে পারো।
” হুম ওকে ওকে। এখন থেকে আর নিবো না।
আচ্ছা আপনি একটা গান শুনান তো আমাকে।
” এখন.?
” হুম এখন। সুন্দর পরিবেশে, সুন্দর প্রিয় মানুষের মুখে গান শুনতে মন চাচ্ছে।
” ওকে।
🌼 শোননা রুপসী,
তুমি যে শ্রেয়সী
কি ভিষন উদাসী,প্রেয়সী।
না না না না…
জীবনের গলিতে
এ গানের কলিতে
চেয়েছি বলিতে…ভালোবাসি।
চোখের জলেরই আড়ালে
খেলা শুধু দেখেছিলে
যন্ত্রনারিই আগুন নীলে
পুড়েছি যে বোঝনি তা।
অভিমানে চুপটি করে
এসেছি তাই দূরে সরে
বোঝাতে চেয়েও পারিনি
তাই বুঝাতে লুকোনো কথা।
ইট পাথরের এই শহরে
গাড়ি বাড়ির এ বহরে
খুজেছে এ মন ভীষণ করে
দীপান্বিতা…. ❤️
” বাহ বাহ।  সুন্দর হয়েছে।
আইরিন খুশি হয়ে হাত তালি দিয়ে সিজানকে অভিবাদন জানায়।
” ধন্যবাদ ধন্যবাদ।
সিজান, আইরিন দুজনে নদীর ধারে বসে আরো কিছুক্ষণ গল্প করে সুন্দর সময় পার করে।
” চলো এবার উঠি।
” এবার কোথায় যাবো?
” আরো কোথাও যাওয়ার ইচ্ছা আছে নাকি?
” হুম আছে তো।
” না না, আজকে আর কোথাও ঘুরতে যেতে হবে না। এখন আপাতত রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে তোমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে, আমি নিজের বাসার দিকে রওনা দিবো।
” আচ্ছা আচ্ছা। আপনি যা ভালো বুঝেন।
সিজান, আইরিনকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে। ওয়েটারকে ডেকে কিছু খাবারের অর্ডার দেয়।
খাবার এলে দুজনে খেয়ে নেয়।
” আজকে আমার জীবনে খুব সুন্দর একটা দিন হয়ে থাকবে।
” আমারও।
” সত্যি.?
” হুম একদম। আচ্ছা উঠো।
সিজান, আইরিনকে নিয়ে আবার গাড়িতে উঠে। আইরিনকে বাসার সামনে পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসে।
” এবার যাও।
” ভালো থাকবেন। আর বাসায় গিয়ে ফোন দিয়েন।
” জি ম্যাম।
আইরিন কিছু পথ পাড়ি দিয়ে আবার সিজানের কাছে ফিরে আসে।।
” কী.?
আইরিন জবাব না দিয়ে হুঠ করে সিজানকে জড়িয়ে ধরে। সিজান থ হয়ে যায়।
আইরিন সিজানের বুক থেকে উঠে এক দৌড়ে বাসার ভিতরে চলে যায়। আর একবারও পিছন দিকে ফিরে তাকায় নি। লজ্জা পেয়েছে।
এইদিকে সিজান হেসে আইরিনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।
সিজান বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে আইরিনকে ফোন দেয়।আইরিন রিসিভ করে জিজ্ঞেস করে,
” বাসায় পৌছিয়েছেন.?
” হুম, ফ্রেশ হয়ে তোমাকে ফোন দিলাম।
তুমি কী করো?
” আমি বসে বসে আপনার কথা ভাবি। সবকিছু স্বপ্নের মতো লাগছে। ইশ! আপনি এখন আমার বয়ফ্রেন্ড। আমারও বয়ফ্রেন্ড আছে।
” হাহাহা। খাওয়া দাওয়া করছো?
” রেস্টুরেন্টে না খাইয়াইলেন? আর কতো খাবো? এতো খেলে মোটা হয়ে যাবো না.?
” রেস্টুরেন্টে খাওয়াইছি দুপুরের আগে। এখন সন্ধ্যা। এতোক্ষণ পেটে খাবার তো থাকার কথা না?
” আমার থাকে। আমার খিদা লাগে নাই। খিদা লাগলে খাবো।
এভাবে অনেক্ষন দুজনে কথা চালিয়ে যায়। নতুন নতুন প্রেমে পড়লে অনেক কথায় চলে আসে। কাজ কর্ম পাশে রেখে সারাক্ষণ, সারাদিন কথা বলতে ইচ্ছে হয়।
রাতে খাওয়ার টেবিলে জাহানারা চৌধুরী সিজানকে,
” বিয়ে নিয়ে কী ভেবেছো? আমার পছন্দেই বিয়ে করবে?,
” আমার পছন্দেই বিয়ে করি, কী বলো?
” এইতো লাইনে আসছো। জানতাম পছন্দ তো থাকবেই। তা কে শুনি?
” আইরিন।
সিজানের মুখে আইরিনের নাম শুনে জাহানারা চৌধুরী উচ্চ স্বরে হেসে উঠে। তা দেখে সিজান ভ্রু কুচকায়। মনে মনে ভাবে ব্যাপার কী? এভাবে হাসছে কেনো?
” সমস্যা কী? আমি কি কোনো জোকস বললাম.? এভাবে হাসছো কেনো?
” তোর পছন্দের কেউ না থাকলেও, আইরিনকেই তোর বউ বানাতাম। তোর আর আমার পছন্দ একজনেই, সেইজন্য হাসছি।
” ইশ! রে। বলা উচিত ছিল কেউ নাই। (মাথা চুলকিয়ে)
” ভালো ভালো, আমি এখন তাড়াতাড়ি ওদের সাথে কথা বলতে চাই।
সিজান, আইরিনের নাম্বারে ডায়াল করে। আইরিন ফোন রিসিভ করতেই বলে,
” একটা দুঃসংবাদ ও একটা সুসংবাদ আছে তোমার জন্য। কোনটা আগে শুনতে চাও, সেটা বলো।
” সুসংবাদ টা শুনতে চাই। দুসংবাদ টা শুনতে চাই না।
” আচ্ছা তাইলে সুসংবাদ টাই বলি।
” না না। আগে দুসংবাদ টা বলেন।
” দুসংবাদ টা হচ্ছে একদিন যেতে না যেতেই আমাদের প্রেমের ইতি ঘটছে।
” মানে কী বলছেন এইসব? প্রেমের ইতি ঘটছে মানে? (ভয় পেয়ে)
” হুম আমাদের প্রেমের ইতি ঘটবে দুই একদিনের মধ্যে। এবার সুসংবাদ টা শুনো।

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top